হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে প্রথম দিন ১৮টি স্টেশনে দাঁড়াবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ছবি পিটিআই।
আর চার-পাঁচটা এক্সপ্রেসের থেকে তাকে দেখতে একেবারেই আলাদা। গতিময় ট্রেন বলে কথা। শুক্রবার দুপুরে ডানকুনি স্টেশনে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেখতে তাই উপচে পড়ল ভিড়। হাওড়া স্টেশনে উদ্বোধনের পর ডানকুনি ছিল দেশের অন্যতম দ্রুততম ট্রেনের প্রথম স্টপেজ। ট্রেন থামতেই উঠে পড়লেন বহু যাত্রী। যার জেরে নির্ধারিত সময়ের পরও স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হল বন্দে ভারতকে।
শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে ডানকুনি স্টেশনে পৌঁছয় বন্দে ভারত। স্টেশনে ট্রেন থামতেই তাতে উঠে পড়েন প্রচুর মানুষ। ঠিক ছিল ওই স্টেশনে ২ মিনিট দাঁড়াবে বন্দে ভারত। তার পরই রওনা দেবে। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ২ মিনিট সময় পার হলেও চাকা গড়াতে পারেনি বন্দে ভারতের। যার জেরে নির্ধারিত সময়ের পরও ডানকুনি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গতিশীল ট্রেনকে। ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ ডানকুনি স্টেশন থেকে ছাড়ে বন্দে ভারত।
বাংলার বুকে দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরুর মুহূর্তের সাক্ষী হতে বিভিন্ন স্টেশনেই ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। মহড়ার সময়ও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন বহু মানুষ। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গতিময় ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হুগলির ডানকুনি স্টেশনে ছিল প্রথম স্টপেজ। আর সেখানেই নতুন ট্রেনের প্রথম যাত্রা চাক্ষুষ করতে ভিড় জমালেন বহু মানুষ।
হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার পথে প্রথম দিন একাধিক স্টেশনে দাঁড়াবে বন্দে ভারত। মোট ১৮টি স্টেশনে দাঁড়বে এই দ্রুততম ট্রেন। রেলের ঘোষিত যে সময়সূচি তাতে বন্দে ভারতের ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছনোর কথা দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। অর্থাৎ, মোট সময় লাগার কথা সাড়ে সাত ঘণ্টা। কিন্তু প্রথম দিন লাগবে ১০ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy