E-Paper

অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ ছড়ায় রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৪
রোগী মৃত্যু নিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ।

রোগী মৃত্যু নিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকার জেরে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার দুপুরে হাসপাতালে এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনেরা। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের দুমকা থানার বড়টুলি গ্রামের বাসিন্দা রাজেন্দ্রপ্রসাদ চৌধুরী নামে বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধ শনিবার দুপুরে রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি হন। তাঁর রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে ভর্তি করার নির্দেশ দেন চিকিৎসকেরা। দুপুরে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় রোগীর।

রোগীর আত্মীয় সুকান্ত মণ্ডল, হরেন্দ্র চৌধুরীদের অভিযোগ, সকালে চিকিৎসকেরা রোগীকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করার পরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের তিন তলা থেকে নামানোর জন্য স্ট্রেচার পেতে দীর্ঘক্ষণ সময় লেগে যায়। পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ স্ট্রেচার পেতে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। আরও অভিযোগ, পরে যে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয় তাতে অক্সিজেন ছিল না। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, সিলিন্ডারে অক্সিজেন না থাকায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে ভর্তি করার পরেই রোগীর দেহে অক্সিজেন কমে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে।

অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভ ছড়ায় রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে। হাসপাতালের সুপার না আসলে মৃতকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাবেন না বলে দাবি তোলেন রোগীর পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস ও সহকারী সুপার সুস্মিত ভট্টাচার্য রোগীর আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন ও লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের আশ্বাস দেন।

এমএসভিপি পলাশ দাস বলেন, ‘‘সিলিন্ডারে অক্সিজেন ছিল কি না সেটা তদন্তের ব্যাপার। এমনও হতে পারে কিছুটা অক্সিজেন ছিল, সেটা ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগে আনার সময় ফুরিয়ে যেতে পারে।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন এমএসভিপি। স্ট্রেচার কম থাকা নিয়ে এমএসভিপি বলেন, ‘‘অনেক সময় উপরে স্ট্রেচার থাকে না। সেক্ষেত্রে রোগীর অসুবিধে হয়। এক্ষেত্রে কী হয়েছে সেটা দেখতে হবে।’’ স্ট্রেচারের বিষয়ে আরও বেশি নজরদারি দেওয়ার জন্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানান এমএসভিপি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rampurhat Rampurhat Medical College & Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy