পর্যালোচনা বৈঠকে নির্মাণ সহায়কদের প্রতি আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ার এক জেলাপ্রশাসনের এক কর্তার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নিতুড়িয়া ব্লক অফিসে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত নির্মাণ সহায়কদের দাবি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বৈঠকে তাঁদের আপত্তিকর কথা বলেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, কথা শুনে সাঁতুড়ির টাড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক রঞ্জিত চেল অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা কেন করা হয়নি, এই অভিযোগে সভা ছেড়ে বেরিয়ে নির্মাণ সহায়কেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ বা অসুস্থ কর্মীর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করানোর কথা ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন এডিএম (জেলা পরিষদ) অরিন্দম দত্ত
প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন নিতুড়িয়া ব্লক কার্যালয়ের সভাগৃহে ‘নির্মল বাংলা অভিযান’ প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হয়। ডাকা হয়েছিল মহকুমার ছ’টি ব্লকের পঞ্চায়েতগুলির নির্মাণ সহায়কদের। অতিরিক্ত জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক (রঘুনাথপুর), একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জেলা আধিকারিক-সহ বিডিওরা। পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কদের অভিযোগ, সেখানে প্রত্যাশা মাফিক শৌচালয় নির্মাণ তাঁরা করতে পারেননি বলে দাবি করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ওই আধিকারিক। কাজ না করলে বেতন বন্ধেরও হুমকি তিনি দেন বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় বিক্ষোভ।
কিছু সময় পরে হল থেকে বেরিয়ে আসেন অতিরিক্ত জেলশাসক-সহ অন্য আধিকারিকরা। পরে বিকেলের দিকে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে নিতুড়িয়া ব্লকে আসেন রঘুনাথপুর মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় পাল। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়।
এ দিকে অরিন্দমবাবু দাবি করেন, ‘‘রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকায় শৌচালয় নির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে চার বছর পরেও তার ধারে কাছে পৌঁছানো যায়নি। তাই নির্মাণ সহায়কদের কাজের সমালোচনা করা হয়। কিন্তু আপত্তিকর কিছু বলা হয়নি। ওদের শুধু বকাবকি করা হয়েছিল।” অসুস্থ হয়ে পড়া ওই নির্মাণ সহায়ককে প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারাই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy