Advertisement
E-Paper

স্নানের ঘাটের ছবি তোলার নালিশ

বাসিন্দাদের দাবি, মহিলাদের স্নানের ঘাটের কাছ দিয়ে বালি খাদানের গাড়ি যাতায়াত করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা  

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৩:১৬
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

বালি খাদানে আসা কোনও ট্রাক থেকে নদীঘাটে মেয়েদের স্নানের দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় তোলার অভিযোগকে ঘিরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তেতে ওঠে বাঁকুড়ার রাইপুরের সিমলিঘাট। ওই ঘটনাকে ঘিরে খাদান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রামবাসীর একাংশের গোলমাল হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসী বালি খাদান মালিকের অফিসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারী মহিলাদের মারধর করে বলে পাল্টা অভিযোগ বাসিন্দাদের। যদিও পুলিশ মারধরের অভিযোগ মানেনি। তবে কয়েক জন পুলিশ ও গ্রামবাসী আহত হন।

এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা বলেন, ‘‘খাদানের কর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর ঝামেলা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিখিত কোনও অভিযোগ নেই। গ্রামবাসীর ইটের ঘায়ে দু’জন পুলিশ কর্মী সামান্য চোট পান। গ্রামবাসীকে মারধর করার অভিযোগ ঠিক নয়।’’ তিনি জানান, ঘাটের কাছ দিয়ে যাতে বালির গাড়ি না যায়, সে কথা খাদান কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বাসিন্দাদের দাবি, মহিলাদের স্নানের ঘাটের কাছ দিয়ে বালি খাদানের গাড়ি যাতায়াত করে। ফলে স্নান করতে অস্বস্তিতে পড়তে হয় মহিলাদের। তাই স্নানের ঘাট থেকে খাদানের রাস্তা কিছুটা দূরে করার দাবি তুলে আসছিলেন বাসিন্দাদের একাংশ। তার মধ্যেই শুক্রবারের ওই অভিযোগ ঘিরে পরিস্থিতি তেতে ওঠে।

শনিবার খাদান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। গ্রামবাসীর তরফে মধুসুদন মণ্ডল, বলরাম মণ্ডলেরা অভিযোগ করেন, ‘‘লকডাউন-এর জন্য কিছু দিন খাদান বন্ধ রাখার পরে ২২ মে থেকে ফের বালি তোলা শুরু হয়েছে। ফলে, প্রতিদিন বহু ট্রাক, ট্রাক্টর বালি নিতে আসছে। তাঁদের কেউ কেউ মোবাইল ক্যামেরায় মহিলাদের স্নানের দৃশ্যের ছবি তুলছেন।’’

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ সরানোর চেষ্টা করে। সেই সময় মহিলাদের উপরে লাঠি চালানোর অভিযোগকে ঘিরে ফের তেতে ওঠে। পরে এসডিপিও-র (খাতড়া) নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

উপস্থিত হন রাইপুরের তৃণমূল বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডু, রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি রাজকুমার সিংহ। রাজকুমারবাবু বলেন, ‘‘এসডিপিও-র নেতৃত্বে গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Bankura Bathing Ghat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy