Advertisement
১৯ মে ২০২৪

কর্মী নিয়োগ নিয়ে নেতা-সাংসদে দ্বন্দ্ব

কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর বিবাদে উত্তেজনা ছড়াল সুতো তৈরির কারখানায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বড়জোড়ার হাটয়াশুড়িয়ার সরকার অধিকৃত কংসাবতী কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল লিমিটেডে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বড়জোড়া শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:১১
Share: Save:

কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর বিবাদে উত্তেজনা ছড়াল সুতো তৈরির কারখানায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বড়জোড়ার হাটয়াশুড়িয়ার সরকার অধিকৃত কংসাবতী কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল লিমিটেডে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোলমালের জেরে উৎপাদন ব্যহত হয়নি বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের।

ওই কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এলাকার ৪২ জন মহিলাকে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের কথায় কারখানায় কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদেই এ দিন কারখানার দরজার সামনে হাটয়াশুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বুধন ঘোষের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীর একাংশ। ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, তাঁরা বুধনের অনুগামী এলাকার ৪৫ জন মহিলাকে কারখানায় নিয়োগের দাবি তোলেন। বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বুধনের মনোনীত ৪৫ জন মহিলাকে কারখানায় কাজে পাঠানো হয়। কারখানা সূত্রে খবর, এ দিনের মতো সমস্যা মেটাতে সৌমিত্র ও বুধনের মনোনীত মহিলাদের কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও তাঁদের কাজ দেওয়া হয়নি।

সমস্যা ঠিক কোথায়?

বুধনের অভিযোগ, “সাংসদ এলাকায় স্বেচ্ছ্বাচারিতা শুরু করেছেন। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এলাকার দুঃস্থ মহিলাদের বঞ্চিত করে নিজের মতো করে কারখানায় কর্মী নিয়োগ করছেন। আমরা এটা মেনে নেব না।”

অভিযোগ উড়িয়ে সৌমিত্র পাল্টা দাবি করেছেন, কর্মী সঙ্কটের কারণে এই সুতো তৈরির কারখানায় উৎপাদন কম হচ্ছিল। তাই কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে আলোচনা করে সাংসদ এলাকার দুঃস্থ মেয়েদের নিয়োগ করার জন্য ঠিকাদারকে বলেন। ঠিকাদার বাছাই করে ৪২ জনকে কাজ দেন। সৌমিত্রের কথায়, “নিয়োগ হওয়া মহিলাদের সুতো তৈরিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের নিয়ে স্বনির্ভর দল গড়ে দেওয়ার লক্ষ নিয়েছিলাম। কিন্তু এলাকার কিছু লোকজন ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা করেই কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন।” ইচ্ছে মতো নিয়োগ প্রসঙ্গে সৌমিত্রের ব্যাখ্যা, “ইচ্ছে খুশি নিয়োগের প্রশ্নই নেই। যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে ঠিকাদার তাঁদের সব দিক খতিয়ে দেখে নিয়োগ করেছেন।”

কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বিক্ষোভের জেরে কারখানায় উৎপাদন ব্যহত হয়নি। কারখানার ম্যানেজার তাপস দাসকে এ দিন ফোন করা হলে প্রথমে ‘ব্যস্ত রয়েছি’ বলে ফোন কেটে দেন। তারপরে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও। বিক্ষোভকারী বুধন এ দিন সাংসদকে আলোচনায় বসতে হবে বলে দাবি তুলেছেন। তা শুনে সাংসদ সৌমিত্র বলছেন, “কই আমাকে তো সরাসরি কেউ আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেননি। তবে কেউ যদি আলোচনায় বসতে চান তা হলে বসব।”

গোটা ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে চাননি জেলা তৃণমূলের নেতারা। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘কোনও সমস্যা থাকলেও আলোচনার মধ্যে দিয়ে দ্রুত তা মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE