প্রতীকী চিত্র
করোনা পরীক্ষায় স্বনির্ভরতার পথে হাঁটতে চলছে বীরভূম।বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে খবর, করোনা সন্দেহভাজনদের লালারস পরীক্ষার পরিকাঠামো গড়ে উঠছে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
সিউড়ি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত করতে ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র বসানো হয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যেই করোনা নিশ্চিত করার জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট করার ব্যবস্থা হবে। হাসপাতালের সুপার শোভন দে জানান, কারও লালারসের নমুনা ‘ট্রু-ন্যাট’-এ পরীক্ষার করলে সেটা নেগেটিভ কিনা তা চূড়ান্তভাবে বলা সম্ভব। কিন্তু রিপোর্ট পজ়িটিভ হলে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট আবশ্যক। সেই পরিকাঠামো প্রস্তুত হয়ে যাবে দিন কয়েকের মধ্যেই।
অন্যদিকে, লালারস পরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চলেছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালও। হাসপাতালের এমএসভিপি সুজয় মিস্ত্রি বলেন, ‘‘টেস্ট করার যন্ত্র স্বাস্থ্যভবন থেকে পাওয়া গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে তা চালু করা হবে। সেই মতো প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।’’ প্রাথমিক পর্বে ৫০০ কিট পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ)-এর অনুমোদন মিললেই টেস্ট করা হবে বলে এমএসভিপি শনিবার জানান।
দ্রুত রিপোর্ট পেতে কিছুদিন আগে কলকাতার বদলে বীরভূম জেলার করোনা সন্দেহভাজনদের লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা হয় বহরমপুরেই। তাতেওও একটি রিপোর্ট পেতে গড়িয়ে যাচ্ছিল কমপক্ষে চার দিন। অরেঞ্জ জোনে থাকা বীরভূমে এখন প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে পাঁচশো টেস্ট করানোর প্রয়োজন। প্রতিদিনই পরিয়াযী শ্রমিকেরা ফিরছেন। তাই জেলাকে এ ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার এক কর্তা বলেন, ‘‘সাত দিনের মধ্যেই পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হবে। এখানেই করোনা রোগী চিহ্নিত করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy