Advertisement
E-Paper

জেলায় আরও দুই আক্রান্ত

হাসপাতাল সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত ওই ৩২ বছরের যুবক রামপুরহাট থানার একটি গ্রামের বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ০১:৫০
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

এ বার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষায় মিলল করোনা পজ়িটিভ। আইসিএমআরের অনুমোদন পাওয়ার পরে গত ১৯ মে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ ‘ট্রু ন্যাট’ পদ্ধতিতে করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা পরীক্ষা চালু করে। সেই পরীক্ষায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন এক রোগীর করোনা-পজ়িটিভ এল। অন্য দিকে, শুক্রবার রাতে ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের মল্লারপুরের বাসিন্দা এক জনের রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। সব মিলিয়ে জেলাতে শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলাতে মোট করোনা আক্রান্ত ২১। যদিও অনেকেই সুস্থ হয়ে ছাড়াও পেয়ে গিয়েছেন।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত ওই ৩২ বছরের যুবক রামপুরহাট থানার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সদ্য মুম্বই থেকে ফেরার পরে ১৯ মে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যালে চিকিসার জন্য এসেছিলেন। ফিভার ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।তাঁর লালারসের পরীক্ষা করা হয়। মেডিক্যালের ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ওই যুবক-সহ দু’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। কিন্তু, তাতে নিশ্চিন্ত হতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর।

কেন?

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ অমিতাভ সাহা জানান, আইসিএমআরের নতুন গাইড লাইন অনুযায়ী ‘ট্রু ন্যাট’ রিপোর্টে করোনা পজ়িটিভ হওয়ার পরে সেটি চূড়ান্ত ধরে নিতে হবে। কিন্তু, এই স্বাস্থ্য জেলার ক্ষেত্রে সফটওয়ারের সমস্যা এবং আরটিপিসি আর যন্ত্র না থাকার জন্য ‘ট্রু ন্যাট পদ্ধতিতে কারও করোনা সংক্রমণ মিললেই সেটি পজ়িটিভ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে না। সে জন্য এখানে পজ়িটিভ আসা দু’টি রিপোর্ট সঠিক কিনা পরীক্ষা করার জন্য কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে রামপুরহাটের ওই যুবকের রিপোর্টে করোনা পজ়িটিভ মিলেছে। অন্য রিপোর্ট এখনও মেলেনি।

ফিভার ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন এক যুবকের লালারসের নমুনা করোনা পজিটিভ পাওয়ার পরে তাঁকে হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে ওই যুবককে বোলপুরে জেলার লেভেল ওয়ান কোভিড হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন এক যুবকের করোনা সংক্রমণের ঘটনায় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কারা কারা ওই যুবকের সংস্পর্শে এসেছেন, তার তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছেন।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) সুজয় মিস্ত্রি শনিবার বলেন, ‘‘আক্রান্ত যুবক ফিভার ক্লিনিকে দূরত্ব-বিধি মেনেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী সুরক্ষিত অবস্থায় যুবকটির সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের লালারস সংগ্রহ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যাঁরা সুরক্ষিত ছিলেন না, তাঁদের নামের তালিকা তৈরির পরে লালারস সংগ্রহ করে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত গৃহ-নিভৃতবাসে রাখা হবে।’’ বিডিও (রামপুরহাট ১) দীপান্বিতা বর্মণ বলেন, ‘‘ওই যুবক গ্রামে পরিবার ছাড়াও আর কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সকলেরই লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। পাশাপাশি রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সকলকেই গৃহ-নিভৃতবাসে থাকতে হবে।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy