Advertisement
E-Paper

ফিরে খুশি পরিযায়ী শ্রমিকেরা

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে আসা শ্রমিকদের বাড়িতে নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৩:৪৯
তৎপরতা: ট্রেন আসার আগে আদ্রা স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

তৎপরতা: ট্রেন আসার আগে আদ্রা স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

রাজস্থান থেকে বাড়ি ফিরলেন পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার পঞ্চাশ জন পরিযায়ী শ্রমিক। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের নিয়ে ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেন এসে পৌঁছয় পুরুলিয়ার আদ্রা স্টেশনে। সেখান থেকে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে, বাস ও গাড়িতে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন।

এ দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই ট্রেন আদ্রায় আসে। রেল সূত্রের খবর, ট্রেনটিতে মোট শ্রমিক ছিলেন ১,২৮৬ জন। বেশির ভাগই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। সেই ট্রেনেই ছিলেন পুরুলিয়ার ১১ জন ও বাঁকুড়ার ৩৯ জন শ্রমিক।

এ দিকে, পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাজস্থান থেকে ওই ট্রেনে যে এ দিন আদ্রা স্টেশনে দুই জেলার পরিযায়ী শ্রমিকেরা নামবেন, সে মর্মে তাদের কাছে আগাম খবর ছিল না।

এ দিন বেলা ২টো নাগাদ বিষয়টি জানানো হয় পুরুলিয়ার পুলিশ ও প্রশাসনকে। তার পরেই তড়িঘড়ি সমস্ত ব্যবস্থা করতে হয় পুলিশ ও প্রশাসনের স্থানীয় আধিকারিকদের।

আদ্রা স্টেশনে গিয়ে তদারকি করেন পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিনাকী দত্ত। ছিলেন এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়, কাশীপুরের সিআই রজতকান্তি পাল, বিডিও (কাশীপুর) সুদেষ্ণা দে মৈত্র প্রমুখ।

ট্রেন থেকে নামার পরে স্টেশনেই ‘থার্মাল স্ক্যানার’ দিয়ে শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা দেখে, অন্য পরীক্ষা করেন কাশীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আদ্রার রেল হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

বিডিও(কাশীপুর) বলেন, ‘‘ট্রেন থেকে নামার পরে দুই জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে তাঁদের শুকনো খাবার ও জলের বোতল দিয়ে নির্দিষ্ট গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজস্থান থেকে আসা শ্রমিকদের বাড়িতে নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্দেশ অনুযায়ী মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রশাসনিক কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে। সেই তালিকায় রাজস্থান নেই। তাই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কারও দেহে করোনার উপসর্গ ধরা পড়েনি বলেই তাঁদের বাড়িতে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে।’’

এ দিন আদ্রা স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে দৃশ্যতই খুশি দেখাচ্ছিল ওই শ্রমিকদের। তাঁদের মধ্যে পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার অনিমেষ পণ্ডা, বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার বাসিন্দা শ্রীমন্ত পালেরা বলেন, ‘‘লকডাউন-এ রাজস্থানে আটকে পড়ে খুব উদ্বেগে ছিলাম। বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেনের ব্যবস্থা হয়েছে শোনার পরেই স্টেশনে এসে বৃহস্পতিবারেই ট্রেনে চেপে পড়ি।’’

এ দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেরল থেকে আসা ট্রেনের চেন টেনে বাঁকুড়া স্টেশনে নেমে পড়া পরিযায়ী ৫৮ জন শ্রমিকের মধ্যে বেশির ভাগই এই জেলার বলে জানিয়েছেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) রাজু মিশ্র। তিনি বলেন, ‘‘৫৮ জনের মধ্যে বেশির ভাগই বাঁকুড়ার। কয়েকজন পশ্চিম বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বাসিন্দা। তাঁদের নিজের নিজের এলাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।’’

Coronavirus Lockdown Migrant Labourer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy