গুলিবিদ্ধ ডিওয়াইএফআই নেতা দলীয় কর্মসূচির পর বাড়ি ফিরছিলেন। সেখানেই তাঁকে গুলি করা হয়। —নিজস্ব চিত্র।
আবার অশান্ত পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল। মাও অধ্যুষিত বান্দোয়ানে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হলেন এক সিপিএম নেতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বান্দোয়ানের মাকপালি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ডিওয়াইএফআই নেতার নাম কৃষ্ণপদ টুডু। তাঁকে গুলি করে পালানোর সময়ই ৩ দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাঁরাই অভিযুক্তদের তুলে দেন পুলিশের হাতে। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র। অন্য দিকে, আহত ওই বাম যুব নেতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর দলীয় সূত্র খবর।
মাও অধ্যুষিত এলাকা বলে পরিচিত বান্দোয়ান বর্তমানে শান্তই ছিল। তবে এই গুলিকাণ্ডে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, ‘‘আমাদের এরিয়া কমিটির সদস্য শুক্রবার দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’ এর পরই তিনি কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন শাসক দলের দিকে। প্রদীপের কথায়, ‘‘আশ্চর্যজনক ভাবে এলাকায় তৃণমূলের সুরক্ষা কবচ না কী একটা কর্মসূচি চলছে! আশ্চর্য সুরক্ষা কবচ তো! পুলিশকে দলদাস হলে তো চলবে না! কেন এই ঘটনা ঘটল তার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে পুলিশকে।’’
সিপিএমের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেউ সন্ত্রাসের বাতাবরণ করতে চাইছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত প্রশাসনের।
অন্য দিকে, এ নিয়ে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy