Advertisement
E-Paper

ভিড় বাড়ল দ্বিগুণেরও বেশি

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার জেলায় ২৭টি শিবিরে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এসেছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০১
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন, বুধবার দুই জেলাতেই ভিড় বাড়ল। সে কারণে দূরত্ব-বিধি যাতে মানা হয়, তা নিয়ে সচেতন রয়েছে প্রশাসন।

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার জেলায় ২৭টি শিবিরে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ এসেছিলেন। বুধবার শিবির বাড়িয়ে ২৯টি করা হয়েছে। এ দিন বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৩১,৫৮৭ জন মানুষ শিবিরে এসে সমস্যা নথিভুক্ত করেছেন বলে জানান বাঁকুড়ার জেলা শাসক এস অরুণপ্রসাদ।

পুরুলিয়ার জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, শিবিরের সংখ্যা না বাড়ানো হলেও (২৫টি) মঙ্গলবারের তুলনায় এ দিন অনেক বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তাঁরা কথায়, ‘‘মঙ্গলবার কোথাও কোথাও রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত শিবির চলে। সে দিন আবেদন পড়ে আট হাজারের কাছাকাছি। এ দিন দুপুরেই আবেদন ১০ হাজার ছাপিয়ে যায়।’’ দুই জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, বেশি আবেদন জমা পড়ছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘খাদ্যসাথী’, ‘জয়জোহার’ প্রভৃতি প্রকল্পে। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি জানান, শিবিরগুলিতে যাতে মানুষ বেশি করে যান, সে জন্য তাঁরা দলীয় ভাবেও প্রচার করছেন।

করোনা-পরিস্থিতিতে এই শিবিরগুলিতে স্বাস্থ্য-বিধি কতটা মানা যাচ্ছে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। এ দিন অবশ্য বাঁকুড়া জেলার অনেক শিবিরে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়ানোর জন্য বৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়। বাঁকুড়ার জেলাশাসক বলেন, ‘‘শিবিরগুলিতে স্বাস্থ্য-বিধি মানতে নির্দিষ্ট দূরত্বে বৃত্ত আঁকা হয়েছে। মাস্ক পরে শিবিরে আসতে প্রচার করা হচ্ছে। বিডিও-রা নজর রাখছেন।’’

পুরুলিয়া জেলায় ১২টি প্রকল্পের জন্য আলাদা কাউন্টার করা হলেও সাধারণ শ্রেণির মানুষদের বার্ধক্যভাতার আবেদন জমা নেওয়ার আলাদা জায়গায় না করায় এ দিন ঝালদা ১ ব্লকের হেঁসাহাতু পঞ্চায়েতের ফতে সিংহ হাইস্কুলে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েন কিছু বয়স্ক মানুষ। তাঁদের মধ্যে ইচাহাতু গ্রামের সত্তর বছরের সেনাপতি সাউ, পাটবু গ্রামের উধীর গোস্বামীরা বলেন, ‘‘আগে ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েতে বার্ধ্যকভাতার আবেদন করেও পাইনি। এলাকায় শিবির হচ্ছে শুনে যাই। কোথায় আবেদন জানাব প্রথমে খুঁজেই পাচ্ছিলাম না।’’ বিডিও (ঝালদা ১) রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘বার্ধ্যকভাতার জন্য আলাদা কাউন্টার নেই। তাই ‘বিবিধ’ কাউন্টারে তাঁদের আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বেড়ো গ্রামের এসআরসি হাইস্কুলের শিবিরে গিয়েছিলেন কবিতা দে। তিনি তাঁর বছর তেরোর প্রতিবন্ধী ছেলে অনুপের জন্য মানবিক প্রকল্পে ভাতার আবেদন করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ছেলের সঙ্গে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দিয়েছেন অফিসার। আশ্বাস মিলেছে, ছেলে দ্রুত মানবিক ভাতা পাবে। আশা করছি, এ বার একটা সুরাহা হবে।”

Government of West Bengal Mamata Banerjee Crowd দুয়ারে সরকার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy