E-Paper

শীতেও বাড়ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগ

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাট ২ ব্লকে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। রামপুরহাট ২ ব্লকে মোট ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ৪৫।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৩
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বর্ষা কবেই বিদায় নিয়েছে। শীত এসে পড়েছে প্রায়। এমন ‘অসময়েই’ রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ডেঙ্গি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩৪। গত বছর এই সময় সংখ্যাটা ছিল ১৯৫। শীতের আগে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন রামপুরহাট ২ ব্লকে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। রামপুরহাট ২ ব্লকে মোট ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ৪৫। স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে থাকা রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ১৪। তুলনামূলক ভাবে নলহাটি পুরসভা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা কম। নলহাটি পুর এলাকায় নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা ৩ জন। রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাহারা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা ডেঙ্গি রোগ প্রতিরোধে সচেষ্ট আছি। তবুও ব্লক এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে দ্রুত জনস্বাস্থ্য নিয়ে বৈঠক ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পদক্ষেপ করা হবে।’’

গত বছরের তুলনায় রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এ বছর ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বেশি রোগীর রক্ত পরীক্ষাকেই দেখাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ রায় জানান, গত বছর ডেঙ্গি রোগী সন্দেহে কেবল রামপুরহাট মেডিক্যালে রক্ত পরীক্ষা করা হত। এ বছরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও রামপুরহাট পুরসভার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেও ডেঙ্গি নির্ণয়ের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য জেলার অধীন ৮টি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেও ডেঙ্গি রোগী সন্দেহে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, যেহেতু জমা জলে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস মশার জন্ম হয় তাই জল জমা ঠেকাতে পদক্ষেপ করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, পুর-এলাকায় পুরসভা নিকাশি নালার জমা জল দূরীকরণে ব্যবস্থা নেবে। পঞ্চায়েত স্তরে গ্রামাঞ্চলে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ওই কাজ করে।

রামপুরহাট ২ ব্লকে ডেঙ্গি রোগী বৃদ্ধির কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের আনাগোনা বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘রামপুরহাট ২ ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা অনেক বেশি। বাইরে থেকে অনেকে ডেঙ্গির জীবাণু বহন করে নিয়ে আসছেন। আরও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rampurhat Dengue

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy