Advertisement
E-Paper

কানের পরে মাথাও, দাবি দিলীপের

আয়কর হানা, ইডি এনআইএ বা সিবিআই এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের সরকারকে ‘হেনস্থা’ করার অভিযোগে নতুন নয়। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫৮
জনসংযোগ: প্রাতঃভ্রমণের পরে চায়ের আসরে দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

জনসংযোগ: প্রাতঃভ্রমণের পরে চায়ের আসরে দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

বছর খানেক আগের দু’টি পৃথক বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে সম্প্রতি বীরভূমে এসেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। তার পর থেকেই চর্চা চলছিল, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সক্রিয়তা কি আরও বাড়বে রাজ্য তথা এই জেলায়? বুধবার সিউড়িতে সেই চর্চাতেই কার্যত সিলমোহর দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এ দিন সকালে শহরের বড়বাগানে আয়োজিত ‘চায়ে-পে চর্চা’র আসরে বীরভূম প্রসঙ্গে নানা কথার মাঝে তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ করে দিলীপ বলেন, “সবে কান ধরেছে। মাথা আসবে আস্তে আস্তে। কয়েক জনের নামও বলেছে তারা। এ বার শুরু হয়ে যাবে! এনআইএ, সিবিআই সব লিস্ট তৈরি করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে। বেশির ভাগ লোক দেখবেন ভোটে বাড়ির বাইরে বেরোতেই পারবে না।’’ দিলীপের সংযোজন, ‘‘এত দিন গরুর টাকা, পাথরের টাকা, কয়লার টাকা, বালির টাকা লুটপাট করে বড় বড় বাড়ি হয়েছে, গাড়ি হয়েছে। ঘুরে বেড়াচ্ছেন ধুলো উড়িয়ে। এ সব ফুটানি বন্ধ হয়ে যাবে দু-চার মাস পরে!’’ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতির বক্তব্য থেকে ইঙ্গিতটা স্পষ্ট।

যা শুনে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলছেন, ‘‘প্রাক্তন এক সিবিআই ডিরেক্টর সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন, সিবিআই খাঁচায় বন্দি তোতা পাখি। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের পিছনে উদ্দেশ্য কী, তা তো ওই কথাতেই স্পষ্ট! তবে কেন্দ্রীয় সংস্থাই আসুক বা বহিরাগত নেতা, লাভ কিছু হবে না। লোকসভা নির্বাচনে জেলার দু’টি লোকসভা আসনে আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছিলেন। এ বারও বীরভূমে সব কটি আসনেই আমরা জিতব।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি অবশ্য এ দিন চ্যালেঞ্জের সুরে বলেছেন, এ জেলায় তৃণমূলেকে সহজে জিততে দেবেন না। চায়ে পে চর্চায় বীরভূমকে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ‘উপদ্রুত’ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘শাসকদলের পার্টি অফিসে ঝুড়ি ঝুড়ি বোমা পাওয়া যাচ্ছে। নেতার বাথরুমে বস্তায় মধ্যে বোমা পাওয়া যায় এখানে। একটাই কারখানা, সেটা বোমার।’’ সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বীরভূম থেকেই শুরু হবে বলেও তিনি দাবি করেছেন।

আয়কর হানা, ইডি এনআইএ বা সিবিআই এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের সরকারকে ‘হেনস্থা’ করার অভিযোগে নতুন নয়। আগেই এমন অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেরলের ক্ষেত্রে সম্প্রতি একই অভিযোগ বামেদের। দিলীপ এ দিন যা বলেছেন, তা কি কোথাও সেই অভিযোগকেই মান্যতা দেয়?

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা সেটাই ইঙ্গিত করে। তবে, এ রাজ্যে নকল যুদ্ধ চলছে। তাতে শামিল বিজেপি ও তৃণমূল, দু’দলই। আসল যুদ্ধ হলে সাত-আট বছর ধরে চলা সারদা নারদার তদন্ত এত দিনে শেষ হয়ে যেত। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সংস্থাকে নিয়ে আপত্তি নেই, নিরপেক্ষতা বাজায় রেখে সত্য উদ্ঘাটিত হোক এটাই চাই।’’

Chai pe Charcha Dilip Ghosh BJP NIA CBI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy