E-Paper

জমিদাতাদের নথি যাচাই শুরু

এই দু’দিন ধরে ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার ডেউচা, সালুকা, দেওয়ানগঞ্জ, আলিনগর, সোঁতসাল এলাকার এলাকার ২৬৫ জনকে জমির নথি নিয়ে ব্লক অফিসে ডাকা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৫২
মহম্মদবাজার ব্লক অফিসেই চলছে জমির নথি যাচাই ও জমা নেওয়ার কাজ।

মহম্মদবাজার ব্লক অফিসেই চলছে জমির নথি যাচাই ও জমা নেওয়ার কাজ। ছবি: পাপাই বাগদি।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ডেউচা পাঁচামি এলাকার প্রস্তাবিত কয়লা খনির জমিদাতারা ডাক পেলেন জমির নথি যাচাইয়ের। মঙ্গলবার মহম্মদবাজার ব্লক অফিসে শিবিরের মাধ্যমে এই জমির নথি যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। দু’দিন ধরে চলবে এই কাজ।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় মাস ছ’য়েক পর আবার শুরু হয়েছে শিবিরের মাধ্যমে ডেউচা পাঁচামি এলাকার জমিদাতাদের জমির নথি যাচাইয়ের কাজ। যে সমস্ত জমিদাতাদের জমির নথি যাচাই করে জমা নেওয়া হচ্ছে তাঁদের আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই দ্রুত এই জমি সরকারের নামে রেজিস্ট্রি করে জমিদাতাদের হাতে জমির পরিমাণ অনুযায়ী প্রাপ্য টাকা চেক হিসেবে তুলে দেওয়া হবে।

এই দু’দিন ধরে ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার ডেউচা, সালুকা, দেওয়ানগঞ্জ, আলিনগর, সোঁতসাল এলাকার এলাকার ২৬৫ জনকে জমির নথি নিয়ে ব্লক অফিসে ডাকা হয়েছে। এ দিন তাঁদের জমির সমস্ত কাগজ যাচাই করে জমা নেওয়া হয়। জেলা পরিষদের অ্যাডভোকেট অসীমকুমার দাসের উপস্থিতিতে ব্লক অফিসেই অস্থায়ী শিবিরের মাধ্যমে জমির নথি যাচাইয়ের কাজ চলছে।

জমিদাতা আয়েশা বিবি, জসমিনা খাতুন বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই শিল্পের পক্ষে জমি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম কবে আমাদের জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য ডাক আসবে। এ বার সেই ডাক এসেছে।’’

দুর্গা মুর্মু ও গুপিন টুডু বলেন, ‘‘আমরাও আমাদের জমির যাবতীয় নথিপত্র ব্লকে জমা দিলাম। আমরা চাই সরকার দ্রুত আমাদের চাকরি দিক এবং এই শিল্প গড়ে উঠুক। তাহলে জমিদাতাদের পাশাপাশি অনেক মানুষেরও কর্মসংস্থান হবে।’’

জেলা পরিষদের অ্যাডভোকেট অসীমকুমার দাস বলেন, ‘‘এ দিন ডেউচা পাঁচামি কোল ব্লকের ২৬৫ জনকে ব্লক অফিসে ডাকা হয়েছে। তাঁদের জমির নথি যাচাইয়ের সঙ্গে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড ও অ্যাকাউন্ট বইয়ের জেরক্স জমা নেওয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই জমিদাতাদের জমি রেজিস্ট্রি করে তাঁদের হাতে জমির পরিমাণ অনুযায়ী চেক তুলে দেওয়ার।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

mohammadbazar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy