মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে। ওই দিনই নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় দ্বিতীয় বার ইডির নোটিস গেল বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কাছে।
ইডির একটি সূত্রে খবর, মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে আগামী ৩১ জুলাই ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। মন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্যের নথি চাওয়া হয়েছে। যদিও চন্দ্রনাথ এ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এর আগে গত শুক্রবার মন্ত্রী চন্দ্রনাথকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তাতে সাড়া দেননি মন্ত্রী। ঘটনাক্রমে চন্দ্রনাথের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। সেই সময় মন্ত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই ফোনটি খোলার জন্যই চন্দ্রনাথকে তলব করা হয়েছিল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশিতে রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
আরও পড়ুন:
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্ত চলাকালীন চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে কুন্তলের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তখন একটি রেজিস্টার খাতা পান তদন্তকারীরা। সেখানে মোট ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া যায়। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ওই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে এক জন ‘মিডলম্যান’ ছিলেন। তাঁকে জেরা করেও চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে বলে ইডি সূত্রে খবর।