আশ্রয়স্থল হিসেবে যে বৃদ্ধাশ্রমকে বেছে নিয়েছিলেন, প্রতারিত হন সেখানেই। উল্টে অন্য একটি বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হল হাওড়ার অঙ্কুরহাটির এক বৃদ্ধার।
খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল— বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে একটি বৃদ্ধাশ্রম ও ধ্রুপদ চর্চা কেন্দ্রের দেখাশোর জন্য পিছুটানহীন একজন মহিলা দরকার। অঙ্কুরহাটির একটি হোমের সুপারভাইজরের কাজ থেকে অবসর নেওয়া ৬০ বছর বয়সি নিঃসন্তান বিধবা চিত্রা দাশগুপ্ত সেই বিজ্ঞাপনের ফোন নম্বরে কথা বলে আশ্বস্থ হয়ে সটান তল্পিতল্পা নিয়ে সেখানে চলে আসেন। কিন্তু বিষ্ণুপুর বাইপাসের মহাপাত্র পাড়ার সেই ‘বৃদ্ধাশ্রম’ দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় ওই বৃদ্ধার। মনে হয়েছিল, এখানে মানুষ থাকে না কি? কয়েকটা খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে জীর্ণ টিনের চালা। বুঝতে অসুবিধা হয় না, বিশ্বাস করে বড্ড ভুল করে ফেলেছেন। বিষ্ণুপুর থানায় তিনি ওই বৃদ্ধাশ্রমের বিজ্ঞাপনদাতা মানিক সাহার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।