আমচুড়িয়া ময়দানে। নিজস্ব চিত্র।
‘ছৌ সমাবেশ’ হল পুরুলিয়ার টামনা থানার আমচুড়িয়া ময়দানে। উদ্যোক্তা জেলা ছৌ নৃত্য সমিতি। বৃহস্পতিবার প্রদীপ জ্বালিয়ে এবং জেলার প্রয়াত ছৌ শিল্পীদের ছবিতে মালা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নচিকেতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ্য হলধর মাহাতো প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ছৌ দল নৃত্যকলা প্রদর্শন করে। সমিতির সভাপতি নিবারণ মাহাতো বলেন, ‘‘অনুষ্ঠান এ বার পঞ্চম বছরে পা রাখল। ২০১৬ সালে রায়বাঘিনী ময়দানে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল।’’
উদ্যোক্তাদের তরফে সৌগত মাহাতো ও দিলীপচন্দ্র মাহাতো বলেন, ‘‘মানুষজনকে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি, জেলার সমস্ত ছৌ দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসাই এই অনুষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য।’’ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য-বিধি মেনেই অনুষ্ঠান হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানান, দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ ছিল ছৌ নাচের অনুষ্ঠান। লোকসানের চোট এখনও রয়ে গিয়েছে। সমাবেশে যোগ দিতে আসা শিল্পীদের মধ্যে ঝালদার মধুপুর গ্রামের বিশ্বনাথ কারমালি ও পুরুলিয়ার বোঙ্গাবাড়ির সুনিতা মাহাতো বলেন, ‘‘অন্য বছরের তুলনায় কম হলেও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে নাচের বরাত ফের আসতে শুরু করেছে।’’
এ দিন নচিকেতাবাবু বলেন, ‘‘ছৌ পুরুলিয়ার গর্ব। এই শিল্পকলাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’’ সুপ্রাচীন শিল্পকলায় আধুনিক উপাদানের মেলবন্ধন করা যায় কি না, তা ভেবে দেখার জন্য শিল্পীদের অনুরোধ করেন তিনি। হলধরবাবু বলেন, ‘‘প্রাচীন এই শিল্পকলাকে বাঁচিয়ে রাখতে দলমত নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা দরকার।’’ সমাবেশে ছিল ঝুমুর গানের আসর। গোবিন্দলাল মাহাতো-সহ আরও কয়েকজন শিল্পী সেখানে গান পরিবেশন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy