পোড়া দোকান। কৃষ্ণবাটি গ্রামে শুভ্র মিত্রের তোলা ছবি।
আগুন নেভাতে যাওয়া দমকলের ইঞ্জিন বিকল থাকায় ক্ষোভ ছ়ড়াল এলাকায়। শেষ পর্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের চেষ্টাতেই আগুন নেভে। বৃহস্পতিবার সকালে সোনামুখীর কৃষ্ণবাটি এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার সার ব্যবসায়ী ষষ্ঠী সাউয়ের দোকানে আগুন লাগে। এ দিন সকালে ষষ্ঠীবাবু দোকান খোলার পরে ইলেট্রিকের স্যুইচ বোর্ডে শর্ট-সার্কিট হয়েই অগ্নিকাণ্ড বাঁধে বলে প্রাথমিক ভাবে দমকল মনে করছে। আগুন লেগে প্রায় ১০০ বস্তা রাসায়নিক সার পুড়ে নষ্ট হয়। আগুনে জখমও হন ষষ্ঠীবাবুও।
স্থানীয় বাসিন্দারাই বিষ্ণুপুর দমকল বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের খবর দেন। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তবে সেটি চালু না হওয়ায় আগুন নেভানোর কাজ শুরুই করা যায়নি। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। দমকল আধিকারিকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে এলাকারই এক বাসিন্দার বাড়ির সাব মার্সিবল পাম্প থেকে পাইপে জল এনে আগুন নেভানো হয়।
এ দিকে, কালীপুজোর ভাসানের জন্য বুধবার রাতভর দমকলের একটি ইঞ্জিন সোনামুখীতে মোতায়েন ছিল। কৃষ্ণবাটি এলাকায় যাওয়া ইঞ্জিনটি কাজ করছে না শুনে সেটিকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়। তবে সেটি পৌঁছতে পৌঁছতে আগুন নিভে গিয়েছিল।
কেন এই ঘটনা ঘটল?
বিষ্ণুপুর দমকল বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “আগুন নেভানোর জন্য জল তুলতে গিয়েই ইঞ্জিনের একটি তার কেটে যায়। সেই জন্যই ইঞ্জিনটি কাজ করছিল না।’’ ষষ্ঠীবাবুর আক্ষেপ, “ইঞ্জিনটি যদি প্রথমেই কাজ করত, তাহলে হয়তো কিছুটা কম ক্ষতির মুখে পড়তাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy