E-Paper

‘দখল’ জানতে সোনাঝুরিতে মাপ শুরু

শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট।এই হাটকে কেন্দ্র করেই জঙ্গলের মধ্যেই গড়ে উঠেছে একাধিক ছোট-বড় রিসর্ট ও হোম-স্টে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:২৪
চলছে জমি মাপার কাজ। সোনাঝুরি এলাকায়।

চলছে জমি মাপার কাজ। সোনাঝুরি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

দখল হয়ে যাচ্ছে সোনাঝুরির হাটে বন দফতরের জায়গা। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হল বন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে সোনাঝুরি এলাকায় জমি মেপে সরকারি জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করলেন দুই দফতরের আধিকারিকেরা। এতে খুশি হাট কমিটি থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমীরা। পাশাপাশি, এ দিন হাটে বসা শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতি দিন ১০টা করে সংগ্রহ করার অভিযোগও উঠল হাট কমিটির বিরুদ্ধে। যদিও হাট কমিটি জানিয়েছে, এলাকা পরিষ্কার রাখতে সপ্তাহে এক দিন এ টাকা সংগ্রহ করা হয়।

শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট।এই হাটকে কেন্দ্র করেই জঙ্গলের মধ্যেই গড়ে উঠেছে একাধিক ছোট-বড় রিসর্ট ও হোম-স্টে। অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখল করে অধিকাংশ নির্মাণগুলি হয়েছে। এই নির্মাণের কারণে হাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও হারিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পরিবেশপ্রেমীরা।

অভিযোগ পেয়ে বন দফতরের প্রকৃত জায়গা চিহ্নিত করতে গত এপ্রিলে সমীক্ষার কাজ শুরু করে। সূত্রের খবর, সমীক্ষায় দেখা যায়, বন দফতরের জায়গা দখল করে কয়েকটি রিসর্ট ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ি তৈরি হয়েছে। বন দফতর থেকে তাদের নোটিস দিয়ে বোলপুর রেঞ্জ অফিসে তাদের জমি সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলা হয়। এর পরে এ দিন বন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা সোনাঝুরি এলাকায় জমি মাপার কাজ শুরু করলেন। বন দফতর সূত্রে খবর, দুই দফতরের আধিকারিকেরা সরকারি জমি চিহ্নিত করছেন। এর মধ্যে দখল থাকলে তা মুক্ত করা হবে। বাউন্ডারি পিলার দিয়ে সরকারি জমি ঘিরে ফেলা ওহবে।

জেলার অতিরিক্ত বনাধিকারী সোমনাথ চৌধুরী বলেন, “সোনাঝুরি হাটের মধ্যে থাকা সরকারি জায়গা দখল, কোথাও অস্থায়ী রাস্তা, কোথাও স্থায়ী রাস্তা তৈরির অভিযোগ আসছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন দু’দফতরের তরফে যৌথ ভাবে কোন দফতরের কতখানি জায়গা রয়েছে তা মাপার কাজ আমরা শুরু করেছি। মাপের পরেই আমরা বলতে পারব কতখানি সরকারি জমি দখল হয়েছে।”

ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বেশ কিছু অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই যৌথ অভিযান। তবে মাপের কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কতখানি সরকারি জমি দখল হয়েছে।”

সোনাঝুরি হাট কমিটির তরফে তন্ময় মিত্র বলেন, ‘‘ভাল কাজ। তবে আমরা চাই হাটে বসা শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়।” অন্য দিকে এ দিনই সোনাঝুরি হাটে বসা শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি দিন ১০ থেকে ২০ টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছে হাট কমিটির বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে তন্ময় বলেন, ‘‘প্রতি দিন না, সপ্তাহে এক দিন শিল্পী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হয়। সে টাকা হাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাছে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Shantiniketan

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy