বাজ পড়ে মায়ের সামনেই মৃত্যু হল মেয়ের। অন্য দুই মেয়ের সঙ্গে আহত হলেন মা-ও। তাঁরা তিনজনে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে বোরো থানার নুনা চাতরা গ্রামে। মৃতের নাম সুলেখা বাউরি (১৫)। আহতেরা হলেন মা সরলা বাউরি ও তাঁর দুই মেয়ে সান্ত্বনা বাউরি ও গীতা বাউরি। এ দিনই আড়শার জুরাডি গ্রামে বাজ পড়ে আরতি যোগী (৪০) নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়। পুরুলিয়া মফস্সল থানার দুমদুমি গ্রামে চুনারডি টোলায় বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন দু’জন। তাঁদের মধ্যে একজন বৃদ্ধা। মারা যায় দু’টি মোষ। এ দিকে, বাঁকুড়া জেলার দু’টি পৃথক জায়গায় বাজ পড়ে মারা যান আরও দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে জীতেন পাল (৫৬) সোনামুখীর ইছারিয়া ও উত্তম বাউরি (৩০) বড়জোড়ার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন দুপুরে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে জীতেনবাবু ইছরিয়া গ্রামের মাঠে ও উত্তমবাবু মাধবপুর গ্রামের মাঠে বজ্রাঘাতে মারা যান।
বোরো থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে ধান লাগানোর কাজ শেষ করে একটি ডুংরির উপর দিয়ে সরলাদেবী তিন মেয়েকে নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই বাজ পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা সরলাদেবী বলেন, ‘‘সেই সময় মুষল ধারায় বৃষ্টি পড়ছিল। আমরা বৃষ্টির মধ্যে আসছিলাম। হঠাৎ আমার চোখের সামনে আলোর ঝলকানি। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাই। তার মধ্যেই মেয়েটা শেষ হয়ে গেল।’’
এ দিন দুপুরের দিকে বাজ পড়ে আরও কয়েকজন হতাহত হন আড়শা থানার জুরাডি এবং পুরুলিয়া মফস্সল থানার দুমদুমি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরের দিকে মাঠে চাষের কাজ করছিলেন আরতিদেবী। সেই সময়ে বাজ পড়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মাঠে চাষের কাজ করার সময়ে মেঘ করে বৃষ্টি নামায় বাড়ি ফিরে আসছিলেন চুরানডি টোলার অহল্যা মাহাতো ও বছর চল্লিশের মন্টু মাহাতো। পথে বাজ পড়ে তাঁরা জখম হন। দু’জনকেই ভর্তি করা হয়েছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। বাজ পড়ায় সেখানেই মৃত্যু হয় দু’টি মোষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy