আজ, বুধবার সাঁইথিয়া-অন্ডাল রেলপথ পরিদর্শনে আসছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার ঘনশ্যাম সিংহ। রেল সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে আটটায় স্পেশ্যাল ট্রেনে অন্য কর্তাদের সঙ্গে সাঁইথিয়া আসবেন জিএম। সাঁইথিয়ায় ঘণ্টাখানেক থেকে সিউড়ি, দুবরাজপুর হয়ে অন্ডাল যেতে পারেন তিনি। জিএম-এর আসার আগেই সাঁইথিয়ায় যাওয়ার কথা আসানসোলের ডিআরএমের।
বীরভূমের অন্যতম ব্যস্ত জংশন সাঁইথিয়া। স্থানীয় বিধায়ক নীলাবতী সাহা, পুরপ্রধান বিপ্লব দত্তেরা জানাচ্ছেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেও কয়েক বছর ধরেই রেলসেতু সম্প্রসারণ-সহ রেল পরিষেবায় নানা উন্নতির কথা শোনা যাচ্ছে। বাস্তবে রেল মাঠের সংস্কার ও সংলগ্ন এলাকায় কিছু গাছপালা লাগিয়ে সৌন্দর্যায়ন ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তাঁদের কথায়, ‘‘ফুটব্রিজ, নন্দিকেশ্বরী মন্দির চত্বরে টিকিট কাউন্টার, এক শিফটের বদলে দুই শিফটের রিজার্ভেশন কাউন্টার চালু কিংবা রেলসেতুর সম্প্রসারণ বা ফ্লাইওভার কিছুই হয়নি।’’ দূরপাল্লার অধিকাংশ ট্রেন সাঁইথিয়ায় থামে না বলেও অভিযোগ অনেকের।
দীর্ঘ দিন ধরেই শহর ও এলাকার লোকজন এই সব দাবি পূরণের আর্জি জানিয়ে আসছেন। মাসখানেক আগে পূর্বরেলের ডিআরএম ও জিএম সাঁইথিয়া রেল পরিদর্শনে এসেছিলেন। তখনও এই সব দাবিপত্র জিএমের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও কোনও দাবিপূরণ হয়নি। এ দিন ফের তাঁর হাতে দাবিপত্র দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিধায়ক জানান, মাস তিনেক আগে জিএমের অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপ, রেলসেতু সম্প্রসারণ-সহ ওই সমস্ত দাবি জানিয়েছিলাম। সে সবের কী হল, তা জানতে ফের দরবার করবেন বলে জানিয়েছেন।
রেল সূত্রে জানা যায়, জিএম পরিদর্শনের দিন থেকেই সাঁইথিয়া-অন্ডাল রেলপথে ডিএমইউ (ডিজেল মাল্টিপুল ইউনিট) এর পরিবর্তে মেমু (এমইএমইউ-মডিফায়েড ইলেকট্রিক্যাল মাল্টিপুল ইউনিট) ট্রেন চলবে। দু’টি ট্রেনের তফাৎ কী? সাঁইথিয়ার স্টেশন মাস্টার পুলক সাহা জানান, ডিএমইউ ট্রেনে ওঠানামার জন্য কোনও সিঁড়ি নেই। মেমু ট্রেনে সিঁড়ি আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy