ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে উচ্চাশার কথা শোনালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রতনকুঠিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। সেখানে বলেন, “আজ বিশ্বভারতী, পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা দেশের কাছে ঐতিহাসিক দিন। আমার স্থির বিশ্বাস আগামীদিনে ভারত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশে পরিণত হবে। তার কেন্দ্রস্থলে থাকবে বিশ্বভারতী।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষার মন্দিরে পরিণত হওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্যপাল। কারণ, শিক্ষাই সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসে। নতুন শিক্ষানীতিতে রবীন্দ্র আদর্শকে খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও মত তাঁর।
রাজ্যপালের কথায়, ‘‘দেশের কল্যাণের জন্য প্রথমে আমাদের রবীন্দ্র আদর্শে বিশ্বাস রাখতে হবে। তারপর একে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।” একইসঙ্গে সরকারের প্রতি তাঁর আবেদন, “মহাবিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। আমি চাই না কোনও উপাচার্য সরকারি মতের দ্বারা প্রভাবিত হন। তাঁরা মুক্ত থাকলেই শিক্ষার উন্নতি তথা সমাজের বিকাশ সম্ভব।”
এ দিন বিশ্বভারতী সম্পর্কিত নানা বিতর্কিত বিষয়কে সযত্নে এড়িয়ে গেছেন রাজ্যপাল। জাতীয় সঙ্গীত বদল সম্পর্কিত সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, “এই বিষয়ে জানা নেই। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশকে যা দিয়েছেন, তা অমূল্য।”
বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে কটাক্ষ করা হয় রাজ্যপালকে। এ দিন বোলপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উনি বার বারে বিভিন্ন বিষয়ে অপমানিত হন। এর প্রচুর নজির রয়েছে। সেগুলি আর উদ্বৃত করতে চাই না। আসলে রাজ্যপাল যদি রাজনৈতিক লোকের মতো ব্যবহার করেন, তা হলে ওই রকম একটু-আধটু শুনতে হবে। তাই উনি শুনছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy