আশঙ্কাই সত্য হল। ফাটল বাড়ায় বীরভূমের সিউড়িতে, ময়ূরাক্ষী নদীর উপরের তিলপাড়া জলাধার দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। শুক্রবার সব গেট খুলে খালি করে দেওয়া হল জলাধারও। এ দিনই রাজ্য সেচ দফতরের বিশেষজ্ঞেরা তিলপাড়ায় পৌঁছন। তবে যে অংশে ফাটল ধরেছে, তা জলাধার ও উপরের রাস্তার ক্ষতি করবে না বলে দাবি তাঁদের।
জলাধার পরিদর্শনে আসা সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস সেনগুপ্ত বলেন, “অবস্থা খুব ভাল নয়। দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা করছি। ফাটল বড় সমস্যা নয়। জল বেরিয়ে আসার পথে যে সিমেন্টের মেঝে রয়েছে, তার নীচের মাটি বেশ কিছুটা নেমে গিয়েছে। ওই অংশ ভরাট করাই এখন সবচেয়ে বড় কাজ।” এ দিন বিকেলে সেতু পরিদর্শনে যান জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি জানিয়েছেন, দেশের বিশিষ্ট জলাধার বিশেষজ্ঞ তথা আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদকে এই জলাধার সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তিনি আসবেন। বর্ষার মরসুমে কী-কী সংস্কার করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শ দেবেন৷
এ বছর এপ্রিলের দিকে জলাধার সংস্কার শুরু হয়েছিল। তবে টানা বৃষ্টিতে কাজ ব্যাহত হয়েছে বার বার। জুলাইয়ে অতিবৃষ্টিতে হঠাৎ জল ছাড়ার কারণে সংস্কারের কাজে নিযুক্ত থাকা বেশ কয়েক জন কর্মী ও শ্রমিক ফেঁসেও যান। পরে ক্রেন দিয়ে তাঁদের অক্ষত অবস্থায় তুলে আনা হয়। জলাধার সংলগ্ন সেচ ও জলপথ বিভাগের কার্যালয় চত্বরের একাংশ ধসেও নেমেছিল।
সেচ দফতর সূত্রে খবর, যে দিক থেকে জল বেরিয়ে আসে সেখানে একাধিক থাম ও জলবিভাজিকায় (ওয়াটার ডিভাইডার) আগেই ফাটল ধরেছিল। এখন সে ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। জলবিভাজিকার নীচের অংশের মাটি ও বালি সরে যাচ্ছে।তাই এ দিন জলাধারের উপরে রাস্তায় ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাতে দীর্ঘ যানজট হয়বেলার দিকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)