রাত পোহালেই তাঁর জেলায় ভোট। সেই জন্য জেলায় পৌঁছতে হবে। কিন্তু জেলাতে নির্বাচন বিধি লাগু থাকার জন্য কপ্টার নিয়ে ভোটের আগের দিন এলাকায় নামতে প্রশাসন থেকে অনুমোদন না থাকার জন্য রামপুরহাট গাঁধী ময়দানে নামার পরিকল্পনা করলেও ময়দানে বৃহস্পতিবার আন্তঃ মহকুমা ক্রিকেট প্রতিযোগিতার জন্য মাঠের প্রস্তুতি ছিল। সেখানেও তাঁর কপ্টার নামা নিয়ে আপত্তি ওঠে। এর জন্য বুধবার বিকালে চিলার মাঠে কপ্টার নামার ব্যবস্থা হয়।
সেখান থেকে গাড়ি করে মুর্শিদাবাদ জেলায় যাওয়ার কথা ছিল অধীরের। সেই মতো পুলিশ প্রশাসন থেকে তারাপীঠের চিলা মাঠে কপ্টার নামার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দমকল থেকে পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছয়। উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। কিন্তু অধীরের কপ্টার রামপুরহাটের আকাশে চক্র খেতে খেতে শেষমেষ রামপুরহাট গাঁধি ময়দানে নেমে পড়ে। সেখানে তখন বৃহস্পতিবারের ক্রিকেট প্রতিযোগিতার জন্য রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্মী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অধীরের কপ্টার মাঠে নামতেই মাঠের আশপাশ ধুলোয় ঢেকে যায়।
কপ্টারের হাওয়ায় বৃহস্পতিবারের খেলার তারপুলিনের ছাউনি ছিঁড়ে যায়। বেগতিক বুঝে অধীরকে সম্মান জানিয়ে রামপুরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা মাঠ থেকে তাঁদের অফিসে বসান। অধীর এর পরেই দলের বীরভূম জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে রামপুরহাট গাঁধী ময়দানে গাড়ি নিয়ে আসার জন্য ডেকে নেয়। এদিকে মাঠে কপ্টার নেমেছে তাই দেখতে শতাধিক লোক মাঠের আশপাশে জড়ো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে কপ্টার আকাশে উড়লে মাঠের ভিড় পাতলা হয়। ভীড় পাতলা হলেও মাঠে গিয়ে দেখা যায় অধীর চৌধুরীর ছবি তুলতে অনেকেই তখন ব্যস্ত।
কেন এই বিভ্রাট? অধীর বলেন, ‘‘আমি তো পাইলট নই। পাইলট যদি ভুল করে থাকে আমার কিছু করার নেই।’’
জিম্মি মাঠে পৌঁছতেই তাঁর সঙ্গে রামপুরহাট মহকুমা এসডিপিও কমল বৈরাগ্য এবং কমব্যাট ফোর্স নিয়ে মাঠে আসেন। তাঁরা অধীরবাবুকে তাঁর গাড়িতে চাপিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy