প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ফুলচাঁদ রজক ওরফে পেপে। তাঁর বাড়ি ঝালদা থানার কুশি গ্রামে। নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার ফুলচাঁদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ, রবিবার তাঁকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে ঝালদা থানার কুশি গ্রামের ফুলচাঁদ রজকের সঙ্গে বিয়ে হয় পড়শি ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার চড়া গ্রামের সরস্বতীর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে সরস্বতীর উপরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাতেন তাঁর স্বামী-সহ স্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচারের কথা মেয়ে মাঝে মধ্যেই তাঁদের জানাতেন বলে দাবি করেছেন সরস্বতীর বাবা লছমন রজক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন সরস্বতী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয়। সেই রাতেই পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সরস্বতী।
শুক্রবার সরস্বতীর বাবা তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে ঝালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি সরস্বতীর স্বামী ফুলচাঁদ-সহ শ্বশুরবাড়ির মোট সাত জনের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। তাঁর দাবি, অতিরিক্ত পণের দাবিতে প্রায় সময়েই তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হত। শেষমেষ ষড়যন্ত্র করে তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে একটা খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ফুলচাঁদকে। তবে বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy