Advertisement
E-Paper

নানুরের গ্রামে কমিশনের দল

নানুরের বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহাকে নিয়ে দলের সদস্যরা স্থানীয় পাকুড়হাঁস গ্রাম ঘুরে দেখেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ০৬:৫৭
সিউড়ি লাগোয়া তিলপাড়ার কাছে মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

সিউড়ি লাগোয়া তিলপাড়ার কাছে মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।

ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রবিবার নানুরে পৌঁছল মানবাধিকার কমিশনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। নানুরের বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহাকে নিয়ে দলের সদস্যরা স্থানীয় পাকুড়হাঁস গ্রাম ঘুরে দেখেন।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে শাসক তৃণমূলের হামলার জেরে তাদের দলের বিজেপি কর্মী-সমর্থককে ঘরছাড়া হতে হয় দাবি বিজেপির। পাকুড়হাঁস-সহ বেশ কিছু গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটেরও অভিযোগ ওঠে। এ দিন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা প্রথমে এসে পৌঁছন কীর্ণাহার ভদ্রকালীতলায়। সেখান বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে যান পাকুড়হাঁস গ্রামে। ওই গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি ঘুরে দেখেন তাঁরা। কিছু বাড়িতে ভাঙচুরের চিহ্ন চোখে পড়ে। কিন্তু অধিকাংশ বাড়িতেই কাউকে দেখা যায়নি। গ্রামের এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘আমরা এখন ভালই আছি। ভাঙচুর কারা করেছে বলতে পারব না।’’

এ দিন বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর ছাড়াও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা কমিটির সহ আহ্বায়ক বিনয় ঘোষ। তাঁদের দাবি, ‘‘তৃণমূলের সন্ত্রাসের আশঙ্কায় নানুরে এখনও আমাদের দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া রয়েছেন।’’ ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নানুরে কেউ ঘরছাড়া আছে বলে জানা নেই। যারা ছিলেন তাঁদের আমরাই গ্রামে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বিজেপি রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’ প্রতিনিধি দলের পক্ষে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্টার মুকেশ কুমার জানান, তদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হবে।

নানুরে মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

নানুরে মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।

নানুর থেকে বোলপুর হয়ে কলকাতা ফেরার আগে এ দিন বিকেলে সিউড়ি লাগোয়া তিলপাড়ার কাছে ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এক জায়গায় থামেন। সেখানে ‘আক্রান্ত’ জনা কুড়ি বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। তিনি বলেন, ‘‘ওই প্রতিনিধি দলের সাঁইথিয়া বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা পুরন্দরপুর ও দুবরাজপুর এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। সেখানেও ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত প্রচুর মানুষ আছেন। তবে সময়ের অভাবে সেই সুযোগ তাঁরা পাননি।’’

BJP TMC National Human Rights Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy