E-Paper

বাঁধ সংস্কার, সতর্কতা

পরে ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। ব্রাহ্মণী নদীর উপরিভাগে ঝাড়খণ্ডে সোমবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বৈধরা জলাধার থেকে জল ছাড়ার মাত্রাও কমে যায়।

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ১০:১১
ব্রাহ্মণী নদীতে রামপুরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে জোরকদমে।

ব্রাহ্মণী নদীতে রামপুরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে জোরকদমে। নিজস্ব চিত্র ।

বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার জেরেই সতর্ক সেচ দফতর এবং ব্লক প্রশাসন। ক’দিন একটু বৃষ্টি কমতেই ব্রাহ্মণী নদীর ভেঙে যাওয়ার বাঁধ সংস্কার শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে ব্রাহ্মণী নদীর উপর বৈধরা জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। নদীর জলস্ফীতিতে জলের তোড়ে ব্রাহ্মণী নদীর দক্ষিণ পাড়ের একাংশ নলহাটি থানার রামপুর এবং রানিনগরের মাঝে প্রায় ৮০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে নলহাটি ১ ব্লকের অধীন বড়লা পঞ্চায়েতের রদিপুর, মকরমপুর, কানুপুর, কেলাই, পাখার মতো গ্রামে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়।

পরে ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। ব্রাহ্মণী নদীর উপরিভাগে ঝাড়খণ্ডে সোমবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বৈধরা জলাধার থেকে জল ছাড়ার মাত্রাও কমে যায়। এর ফলে নদীতে জলস্তর অনেক নীচে নেমে আয়। জলস্তর নীচে নামতেই সেচ দফতরের কর্মীরা ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছেন।

সেচ দফতরের ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানালের রামপুরহাট বিভাগীয় দফতরের এক আধিকারিক জানান, ভেঙে পড়া অংশে বাঁধের তলাকার অংশে তিনটে গর্ত ছিল। সেই গর্ত দিয়ে নদীর জল ঢুকতে থাকে। সেচ দফতরের কর্মীরা গর্ত বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও নদীবাঁধের ভাঙন রোধ করতে পারেননি। বাঁধের ভাঙা অংশ বালির বস্তা দিয়ে ও শাল বল্লা দিয়ে মেরামত করেন সেচ দফতরের কর্মীরা। সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানান, বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশে জল আর ঢুকবে না। বর্তমানে মাটি ভরাট করে বাঁধ মজবুত করা হচ্ছে।

জল নামতেই ব্রাহ্মণী নদী পাড়ের রামপুরহাট ১ ও ২ এবং নলহাটি ১ ও ২ ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা বাঁধ পরিদর্শন করেন। বাঁধের যে সমস্ত অংশ দুর্বল আছে সেই সমস্ত অংশ দ্রুত সংস্কার করার জন্য সেচ দফতরকে জানান তাঁরা। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর জল নেমে যাওয়ার পরে বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধে গর্ত দেখা গিয়েছিল। সেই সমস্ত গর্তগুলিতে যাতে জল ঢুকতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

nalhati

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy