Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩
BJP

সভার মাঝে লোডশেডিং, ক্ষুব্ধ অনুব্রত

এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন হঠাৎই লোডশেডিং হয়ে যায়। তাতেই ক্ষুব্ধ হন অনুব্রত। তারপরেই তিনি ওই সম্মেলনে উপস্থিত কর্মীদের জিজ্ঞেসা করেন যে সিউড়ি শহরে লোডশেডিংয়ের সমস্যা আছে কি না।

কর্মিসভায়। নিজস্ব চিত্র

কর্মিসভায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৪:৪৫
Share: Save:

চলছিল কর্মিসভা। সেখানেই লোডশেডিং হওয়ায় বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিককে ফোন করে ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এটা আমরা মেনে নেব না।’’

Advertisement

সোমবার সিউড়ির একটি অনুষ্ঠান ভবনে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কর্মী সম্মেলনে ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ, আরেক সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক-সহ অন্যরা। এ দিন কর্মী সম্মেলন চলাকালীন হঠাৎই লোডশেডিং হয়ে যায়। তাতেই ক্ষুব্ধ হন অনুব্রত। তারপরেই তিনি ওই সম্মেলনে উপস্থিত কর্মীদের জিজ্ঞেসা করেন যে সিউড়ি শহরে লোডশেডিংয়ের সমস্যা আছে কি না। তখন অনেকেই জানান যে, শহরে প্রয়াশই লোডশেডিং হয়। তা শুনে অনুব্রত পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিককে ফোন করতে বলেন। সেই ফোন থেকেই নিজের ক্ষোভের কথা জানান তিনি।

রবিবার হওয়া ইলামবাজারে সভার মতো এ দিনও ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘যদি কেউ কোনও ভুল করে থাকে আমি ক্ষমা চেয়ে নেব। কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে আমি ক্ষমা চেয়ে নেব। কিন্তু বলবেন না যে ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল।’’ এ ছাড়াও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন। আমপানে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও বেঁধেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তো কেউ ভিক্ষা চাইনি। আমরা কেবল আমাদের ন্যায্য পাওনা চেয়েছি।’’

এ দিনই সদাইপুরে গিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। তাঁর কথায়, ‘‘জেলা তৃণমূল কোমায় চলে গিয়েছে। প্রশান্ত কিশোর নাকি সেই তৃণমূলকে বাঁচাবে!’’ এ দিন চিনপাইয়ে বিজেপির একটি কার্যালয় উদ্বোধন হয়। তারই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্যামাপদ বলেন, ‘‘প্রশান্ত কিশোর নাকি মরা তৃণমূলকে বাঁচাবে! তা পারলে ভাল!’’ অনুব্রতকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অবশ্য শ্যামাপদর কথায় গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘পাগলের কথায় আর কী বলব!’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.