‘লকডাউন’-পর্বে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্যপঞ্জি তৈরির কাজ শুরু করল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। শনিবার রবীন্দ্রভবনের ওই বৈঠকে জেলার ২০টি ব্লকের বিডিও, জয়েন্ট বিডিও এবং ১৭০টি পঞ্চায়েত এলাকার ‘নোডাল অফিসার’-এরা যোগ দেন।
জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘জেলায় কম-বেশি ৫০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। তাঁদের জন্য ঠিকমতো পরিকল্পনা করতে না পারলে, আমরা এগোতে পারব না। সে জন্য দ্রুত তাঁদের তথ্যপঞ্জি (ডেটাবেস) তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। তার উপরেই নির্ভর করবে, ওই শ্রমিকদের নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া যাবে।’’
জেলাশাসক জানান, যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ নির্মাণ শ্রমিক। ওই নির্মাণ শ্রমিকদের এখানকার আবাস প্রকল্পে কাজে লাগাতে হবে। তাঁদের অনেকেই আবাস প্রকল্পের উপভোক্তা। তাঁরা নিজেদের বাড়ি যত্ন নিয়ে করবেন। সে জন্য ১০০ দিনের প্রকল্পে অদক্ষ শ্রমিকের মজুরিও তাঁরা পাবেন।
জেলা পরিকল্পনা দফতরের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ব্লক ভিত্তিক এই তথ্যপঞ্জি তৈরি করা হবে। কী ভাবে তৈরি করা হবে, তার রূপরেখাও ঠিক করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।’’ অনুপমবাবু জানান, ওই শ্রমিকেরা কোন রাজ্যে বা কোন জেলায় থাকতেন, কী কাজ করতেন, দক্ষ না অদক্ষ শ্রমিক, ১০০ দিনের কাজের জব-কার্ড রয়েছে কি না, তফসিলি জাতি না জনজাতিভুক্ত— ইত্যাদি জানতে হবে।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘যদি অদক্ষ শ্রমিক হন, তা হলে দ্রুত তাঁকে একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। যদি জব-কার্ড না থাকে, তা হলে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তা তৈরি করে দিতে হবে।’’ একশো দিনের কাজের প্রকল্পের জেলার ‘নোডাল অফিসার’ সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, গত মাসে জেলায় ১৬ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, ২০ লক্ষ শ্রমদিবস সৃষ্টি করা গিয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা কাজ চাইলে, তাঁদের তা দিতে হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে, তা থেকেও উপযুক্তদের ঋণ দিতে হবে বলে বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।