গ্রামের জল-সঙ্কট মেটাতে কী করণীয়, কী ভাবে বাড়ানো যায় জল সংরক্ষণ? জেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে এ বার তারই নকশা তৈরি করবেন জলদূতেরা। বুধবার তাঁদের প্রশিক্ষণ শিবির হল সিউড়িতে। ব্যবস্থাপনায় নাবার্ড। এ দিন দশটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিবিরটি হয় কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের কনফারেন্স হলে। ছিলেন নাবার্ডের ডেভেলপমেন্ট অফিসার সুমর্ত্য ঘোষ, উপকৃষি অধিকর্তা (বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকল্প) সৌমেন্দ্রনাথ দাস, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সিইও বেনজির হোসেন, জলসংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ নিশীথ সান্যাল প্রমুখ।
নাবার্ড-এর তরফে জানানো হয়েছে, সারা দেশে খরাপ্রবণ এলাকা বা যে এলাকায় জলের সমস্যা রয়েছে সেগুলির প্রকৃত চিত্র কী, কী ভাবেই বা বদলে দেওয়া যায় পরিস্থিতি তার অনুপুঙ্খ জনাতে ম্যাপ তৈরি হবে। নকশা তৈরি করবেন ‘জলদূতে’রা। সারা দেশের এমন ১ লক্ষ গ্রামকে চিহ্নিত করা হয়েছে যে তালিকায় বীরভূমের ৪৫০ গ্রাম রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন কৃষক গ্রুপের থেকে ৪০ জন ‘জলদূত’ বাছাই হয়েছে। তাঁরা সমীক্ষার পাশাপাশি কী ভাবে এলাকার প্রকৃত চিত্র মানচিত্রের মাধ্যমে তুলে আনবেন প্রশিক্ষণ ছিল তা নিয়েই। নাবার্ডের জেলা ডেভলপমেন্ট অফিসার বলেন, ‘‘চিহ্নিত গ্রামের মানুষ কী ভাবে জল পেয়ে থাকেন। কী করলে গ্রামটিতে জলের অভাব মেটানো যায়, সংরক্ষণ বাড়ানো যায় জলের, জলদূতেরা এই নিয়ে গ্রামের মানুষের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে ম্যাপ তৈরি করবেন।’’
আধিকারিকরা বলছেন, কী ভাবে কাজ এগোচ্ছে সেটা তুলে ধরতে রয়েছে মোবাইল অ্যাপে আপলোড কারার ব্যবস্থা। আগামী ১১ তারিখ থেকে কাজ শুরু করবেন জলদূতেরা। প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়া জলদূতেরা বলছেন, ‘‘আমাদের কাজের পরে যদি গ্রামগুলির জল-ছবি বদল হয় তার থেকে খুশির কী-ই বা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy