Advertisement
E-Paper

অপরাধ থেকে মূলস্রোতে ফেরাতে সভা দাসপাড়ায়

এলাকার শ’খানেক বাড়িতে থাকেন শ’পাঁচেক মানুষ। অথচ তাঁদের উপরে অপরাধের অভিযোগই শতাধিক। এঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে ‘অপরাধী’র তকমা ঘোচাতে সক্রিয় হল পঞ্চায়েত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৪২

এলাকার শ’খানেক বাড়িতে থাকেন শ’পাঁচেক মানুষ। অথচ তাঁদের উপরে অপরাধের অভিযোগই শতাধিক। এঁদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে ‘অপরাধী’র তকমা ঘোচাতে সক্রিয় হল পঞ্চায়েত। উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসনও। এমন উদ্যোগে খুশি স্থানীয়েরাও।

চুরি, ছিনতাইয়ের মতো একাধিক অপরাধের ঘটনায় বারেবারেই খবরের শিরোনামে এসেছে শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালিতলা পঞ্চায়েতের লায়েকবাজারের দাসপাড়া।

ঘরে-বাইরে সে নিয়ে কম গঞ্জনা শুনতে হয়নি স্থানীয়দের। জেলা পুলিশের এক কর্তাও জানান, এলাকায় চুরি ছিনতাই বা কোনও অপরাধ হলে প্রথম সন্দেহ হয় ওই দাসপাড়ায়। পুলিশি অভিযানে একাধিকবার চুরি-ছিনতাই হওয়া নানা জিনিসও উদ্ধার হয়েছে। একাধিক অভিযোগে বহুবার জেল খেটেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।

সেই অপরাধপ্রবণতা রুখতে বুধবার সন্ধ্যায় এক কর্মসূচি নেওয়া হয়। তার রূপরেখা ঠিক করতে স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন এবং জেলা পুলিশের উদ্যোগে দিন কয়েক আগে বিস্তর আলোচনা হয়। আইনের মধ্যে থেকে কী ভাবে ওই অভিযুক্তদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরানো যায়, সেটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান মহম্মদ অহিদউদ্দিন, পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আলেব শেখ, বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ, সিআই কল্যাণ মিত্র এবং শান্তিনিকেতন থানার ওসি পূর্ণেন্দুবিকাশ দাস ওই দিন সন্ধ্যায় দাসপাড়া যান। ঘণ্টা দু’য়েক চলে আলোচনা।

তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে কঠোর সাজার বিধি যেমন শোনানো হয়, তেমনই সমাজের মুলস্রোতে ফেরাতে কিছু ঘোষণাও ছিল। উপপ্রধান মহম্মদ অহিদউদ্দিন বলেন, “আলোচনা চলার সময়ে এক মহিলা উঠে দাঁড়িয়ে জানান স্বভাবে নয়, অভাবের কারণে চুরি করেন তাঁর স্বামী। সৎ পথে উপার্জনের রাস্তা বাতলানোর আর্জি তোলেন স্থানীয়রা। সেই মতোই কাজ করা হয়েছে।’’

পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আলেব শেখ বলেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বোলপুরের বিডিও শমীক পানিগ্রাহীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। আইনের মধ্যে থেকে ভ্যান রিকশা কিংবা দোকান করে দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা রয়েছে আমাদের। দেখা যাক কী হয়।’’

ওই আলোচনায় বোলপুরের এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ এলাকার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার বিষয়ে জোর দেন। পড়ুয়ারা যাতে স্কুলমুখী হয়, পঠনপাঠনে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয়ও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সব দেখেশুনে শিবিরে উপস্থিত শ’দুয়েক পুরুষ ও মহিলাদের অনেকেই আশার কথা শুনিয়েছেন। এঁদের অনেকের কথায়, ‘‘অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা যখন সুনিশ্চিত হচ্ছে, তখন অপরাধের পথ ছেড়ে দিয়ে অন্য জীবন শুরু করাই যায়।’’

শৌচালয়ের দাবি। বিষ্ণুপুর এলাকায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শৌচালয় অভাবে এলাকার বাসিন্দা থেকে নিত্যযাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, কান্দি ও বীরভূম জেলার রামপুরহাট, নারায়ণপুর-সহ বেশ কয়েকটি রুটের বাসচলাচল করে।

মুর্শিদাবাদ জেলা ও বীরভূম সংযোগ স্থল কেন্দ্র হিসাবে ওই বাসস্ট্যাণ্ডে নিত্যদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু বাসস্ট্যন্ড এলাকায় উপযুক্ত শৌচালয়ের অভাবে অসুবিধার মধ্যে পড়েন ওই সমস্ত যাত্রী সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

Meeting normal life
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy