ভেঙে পড়েছে কাঠামো। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
শিলাবৃষ্টি আর চৈত্রের এলোপাথাড়ি ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কর্মিসভা। মঙ্গলবার বেলা তিনটে নাগাদ মুরারই-২ ব্লকে নন্দীগ্রাম হাইস্কুলের মাঠে অনুব্রতের সভা শুরুর কথা ছিল। তখনই ঝড় আর শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। সভাস্থলে কর্মীদের বসার জন্য বাঁশ আর ত্রিপলের ম্যারাপ
বাঁধা হয়েছিল। ঝড়ে সেই কাঠামো ভেঙে পড়ে। সেখানে উপস্থিত কর্মীরা কোনও রকমে হাইস্কুলের বারান্দায় আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচান। প্রায় ঘন্টাখানেক পরে ঝড়, বৃষ্টি থামলে বাঁশ ও ত্রিপল সরিয়ে দেন সকলে মিলে। ততক্ষণে অনুব্রতও সভাস্থলে হাজির হন। স্কুলের স্থায়ী মঞ্চে নেতাদের বসার জায়গা করা হয়েছিল। সেটির কোনও ক্ষতি না হলেও শ্রোতাদের বসার জায়গায় জল জমে যাওয়ায় ওই জলে দাঁড়িয়ে তাঁরা নেতাদের বক্তৃতা শোনেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্যদিকে, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এ দিন নলহাটি-২ ব্লক জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা তিনটে নাগাদ শীতলগ্রামে চাষের জমিতে সার দিচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন কৃষক। আচমকা ঝড় উঠে শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় তাঁরা কোথাও আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পাননি। শিলাবৃষ্টির ফলে কমবেশি সকলেই জখম হন। দু-একজন জমিতে আলের ধারে বস্তা চাপা দিয়ে শুয়ে পড়েন। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে নাক ও মাথা ফাটে কয়েকজনের। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও চিকিৎসকদের কাছে ভিড় জমে যায় প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর জন্য। এই এলাকার চাষিরা জানিয়েছেন, হঠাৎ শিলাবৃষ্টির ফলে আনাজ ও আমের মুকুল নষ্ট হয়েছে প্রচুর পরিমানে। এ দিন সাড়ে তিনটে নাগাদ দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে ভদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা সবিতা মাল পুকুরে বাসন ধুতে গিয়েছিলেন। আচমকা শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় তিনি জখম হন। শেষ পর্যন্ত এঁটো বাসনেই মাথা ঢেকে কোনও রকমে একটি বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নেন। তাঁরও প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy