Advertisement
E-Paper

‘ধর্ষিত’ বৃদ্ধার মৃত্যু, ধৃত প্রৌঢ়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দোয়ানের একটি গ্রামে পুত্রবধূ ও তিন নাতি-নাতনির সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর ছেলে ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। ‘লকডাউন’-এ ফেরেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২০ ০৬:১৭
ঘটনাস্থল: এই ঘর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়। বান্দোয়ান থানা এলাকার একটি গ্রামে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

ঘটনাস্থল: এই ঘর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করা হয়। বান্দোয়ান থানা এলাকার একটি গ্রামে। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো

পড়শি বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থানার পুলিশ। রবিবার বিকেলের ঘটনা। রাতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৬৭ বছরের নির্যাতিতা বৃদ্ধার। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুনীল ওরফে অনিল মাহালি। বয়স পঞ্চাশ বছর। সোমবার পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে তার তিন দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দোয়ানের একটি গ্রামে পুত্রবধূ ও তিন নাতি-নাতনির সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর ছেলে ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। ‘লকডাউন’-এ ফেরেননি। বৃদ্ধার পুত্রবধূ জানান, রবিবার বিকেলে তিনি বাড়ি ছিলেন না। ছেলে-মেয়েরাও বাইরে ছিল। ফিরে দেখেন, শাশুড়ি নেই। কাছেই কিছু ছেলেমেয়ে খেলা করছিল। তাদের থেকে জানতে পারেন, অনিল তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছে।

পুত্রবধূর দাবি, অনিলের বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। তিনি পড়শিদের খবর দেন। সবাই এসে দরজা ভেঙে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। অনিলকে আটকে রেখে দ্রুত বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় বান্দোয়ান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

ঘটনার পরেই অনিলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। রাতে বৃদ্ধার পুত্রবধূর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বান্দোয়ান থানার পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত অনিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে সদর থানা ময়না-তদন্তের ব্যবস্থা করেছে। রিপোর্ট পেলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, অনিল নানা ধরনের নেশা করেন এবং ঝামেলাবাজ বলে এলাকায় পরিচিত। বছরখানেক আগে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সেই থেকে একাই থাকত অনিল। সোমবার তার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মুখ খুলতে চাননি পড়শিরাও।

Crime Rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy