পৃথক ঘটনায় দুই তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযোগের নিশানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। একটি ঘটনায় মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং অপরটিতে সরাসরি খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই দুই তরুণীর পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বরের আমিনপুরে নিজেদেরই এক নির্মীয়মাণ ফাঁকা বাড়ির কড়িকাঠে জল্পনা কোনাই (৩০) নামে এক তরুণীর গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত দেহ মেলে। বছর নয়েক আগে আমিনপুরের সাগর কোনাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লাভপুরের মানপুরের জল্পনার। দম্পতির একটি আট বছরের ছেলেও রয়েছে। পরিবারের দাবি, দিন চারেক আগে পারিবারিক অশান্তির কারণে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে যান সাগর। সেই কারণে ওই তরুণী আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ওই ঘটনায় রবিবার জল্পনার বাবা শক্তিপদ কোনাই থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয় ঘটনায় পণের দাবিতে এক তরুণীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম জয়াবতী বাগদি (১৯)। মাত্র মাস ছয়েক আগে ময়ূরেশ্বরেরই দ্বারুরী গ্রামের জয়াবতীর বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় দক্ষিণগ্রামের প্রশান্ত বাগদির। জয়াবতীর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পণের দাবিতে জয়াবতীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। নিহত তরুণীর বাবা বিশু বাগদির অভিযোগ, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ফোন করে জানায় মেয়ে নাকি বিষ খেয়েছে। রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গিয়ে দেখি মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। গ্রামের কয়েক জন মহিলা ছাড়া কেউ কোথাও নেই। আসলে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে মেরেছে মেয়েকে।’’ এ দিনই থানায় তিনি মেয়ের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং জায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy