প্রতীকী চিত্র।
বাবা, মা ও মেয়ের পরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অল্প সময়ের ব্যবধানে রানিবাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মৃত্যু হয় লদ মুর্মু (৬১) ও তাঁর স্ত্রী শান্তি মুর্মুর (৫১)। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে তাঁদের মেয়ে রাসমণি মুর্মুকে (২১) ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। তাঁদের বাড়ি রানিবাঁধ ব্লকের রাওতোড়া পঞ্চায়েতের কাওয়াটাঙা গ্রামে।
রানিবাঁধের বিএমওএইচ অরূপকুমার পন্ডা বলেন, ‘‘পেটের রোগের উপসর্গ নিয়ে রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের অবস্থার উন্নতি হলেও, হৃদরোগে তাঁরা মারা যান। মেয়েটির মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।’’ এসডিপিও (খাতড়া) কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ জানতে তিনটি দেহই ময়না-তদন্ত করানো হচ্ছে।’’ বাঁকুড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন বলেন, ‘‘এ দিন ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম গিয়ে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে। তবে গ্রামে বা পাড়ার আর কেউ পেটের রোগে ভুগছেন না বলে জানিয়েছেন। মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’
মৃত লদ মুর্মুর নাবালক সন্তান সনিয়া ও গুরুদাস জানায়, শুক্রবার বাবা রানিবাঁধেরই বৈষ্ণবপুর গ্রামে তাদের বড় দিদির শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। শনিবার ফেরেন। সে রাতেই লদ ও শান্তির পেটের সমস্যা শুরু হয়। বিডিও (রানিবাঁধ) কৌশিক মাইতি বলেন, ‘‘মৃত দম্পতির মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে কোনও সংক্রমণ ঘটেছে, না কি খাদ্যে কোনও বিষক্রিয়ার ফলে এই ঘটনা, তা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের তদন্তের পরেই জানা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy