জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসার এবং শিক্ষা-বাণিজ্যে দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে শুক্রবার সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের মোট ৩৭৭টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ থেকে প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন এই জাতীয় সম্মেলনে। ইউজিসির ‘বিকাশ ২০২৫’ কর্মসূচির অন্তর্গত এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বভারতীর আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবনে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে আগেই ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা, সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি যোগদান করছেন বিশ্বভারতীর সম্মেলনে। আন্দামান-নিকোবরের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকছেন সম্মেলনে।
প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন ইউজিসির অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম জগদীশ কুমার, জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে যাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বক্তৃতা করবেন এনসিভিইটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান নির্মলজিৎ সিংহ, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মণীশ জৈন-সহ বেশ কয়েক জন শিক্ষাবিদ।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীরকুমার ঘোষ বলেন, “প্রথম বার বিশ্বভারতী এত বড় মাপের জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করছে। জাতীয় শিক্ষানীতির সাফল্যের পাশাপাশি বিজনেস-অ্যাকাডেমি সংযোগের উপরও বিস্তারিত আলোচনা হবে। ইউজিসি বিশ্বভারতীকে বেছে নেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।” ইউজিসির যুগ্মসচিব অবিচলরাজ কাপুর বলেন, ‘‘সম্মেলনে একে অপরের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করাই মূল লক্ষ্য।”