রামপুরহাটে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপো। নিজস্ব চিত্র
পুজোর আগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার রামপুরহাট ডিপো থেকে চালু হল বেশ কিছু বাস। ১ অক্টোবর থেকে কলকাতা-সহ বর্ধমান, আরামবাগ, আসানসোল, মালদা, ফরাক্কা যাওয়ার জন্য এই বাসগুলি চালু হওয়ার ফলে রামপুরহাট থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে যোগাযোগের সুবিধা হবে বলে আশা যাত্রীদের।
রামপুরহাট শহর থেকে সরকারি বাস পরিষেবার চাহিদা ছিল দীর্ঘদিনের। সেই দাবি মেনে জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি বাসের জন্য ডিপো তৈরি হলেও তার কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তবে করোনা-পরিস্থিতিতে যাতায়াত কঠিন হওয়ায় বাসিন্দাদের সমস্যা বিবেচনা করে পরিবহণ দফতর জুন মাসে রামপুরহাট থেকে কলকাতা ও সিউড়ির বাস পরিষেবা চালু করে। রামপুরহাট ডিপোর ইন-চার্জ মনিরুল হক জানান, প্রথম থেকেই কলকাতা বাসে চাহিদা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মালদহ, বর্ধমান যাওয়ার জন্য রেল পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক হয় নি। ওই সমস্ত রুটেও বাস পরিষেবা চালুর জন্য চাহিদা ছিল। তা মেনেই নতুন বাসগুলি চালু করা হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য সিউড়ি, দুবরাজপুর, পানাগড় হয়ে বর্ধমান বাইপাস ধরে কলকাতার ধর্মতলা যাওয়ার জন্য বর্তমানে প্রতিদিন ভোর ৪টে ৪০ মিনিটে প্রথম বাস ছাড়ে। বাসটি কলকাতার ধর্মতলা এলাকা থেকে দুপুর ১টায় ফের রামপুরহাটের পথে রওনা হয়। ভোর ৫টাতেও একই পথে কলকাতা যাওয়ার আরেকটি বাস প্রতিদিন ছাড়ে। সকাল ৬টা ১৫মিনিটে তারাপীঠ হয়ে ফুটিসাঁকো হয়ে বর্ধমান বাইপাস দিয়ে কলকাতা যাওয়ার আরেকটি বাস ছাড়ে। এ ছাড়া বর্ধমান, আরামবাগ, আসানসোল যাওয়ার জন্য প্রতিদিন রামপুরহাট ডিপো থেকে বাস ছাড়ে। দুর্গাপুজোর সময় বা অন্য সময় ভিড় সামাল দিতে কলকাতা যাওয়ার জন্য দুটি স্পেশাল বাস ছাড়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার কর্মীরা জানান।
রামপুরহাট থেকে সিউড়ি যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ৯টা এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। সিউড়ি থেকে রামপুরহাট আসার জন্য দুপুর ১টা এবং সন্ধ্যা ৭টেয় বাস চালু করা হয়েছে। আগামী দিনে রামপুরহাট থেকে বহরমপুর, মেমারি ও লালগোলা রুটেও বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো ওই সমস্ত রুটে কখন কখন বাস চলবে তার সময়সূচীও তৈরি হয়েছে বলে সংস্থার কর্মীরা জানান।
করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা, বাসে জীবাণুনাশ করার খেয়াল রাখা হচ্ছে বলেও সংস্থার কর্তাদের দাবি। রামপুরহাট ডিপোতে শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ চলছে। বর্তমানে অস্থায়ী ভাবে ডিপোর ভিতরে অনুসন্ধান কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy