কয়েক বছর আগেও যেখানে সাধারণ মানুষ পা ফেলতে ভয় পেতেন, কোটশিলা থানার সেই জাবর পাহাড়ে এ বার পর্যটকদের টেনে আনার ভাবনা নিয়েছে প্রশাসন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে প্রকৃতিপ্রেমীদের সামনে তুলে ধরতে পর্যটন উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। সম্প্রতি মহকুমাশাসক (ঝালদা) সুশান্তকুমার ভক্ত, বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো, বিডিও (ঝালদা ২) উজ্জ্বলকুমার বিশ্বাস-সহ প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শনে যান।
ঝাড়খণ্ড সীমানা ঘেঁষা ঝালদা ২ ব্লকের মাঝিডি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত ওই এলাকার রূপ নয়নাভিরাম। দূরে সারি দিয়ে রয়েছে ধূসর পাহাড়। চারদিকে ঘন সবুজ শাল, পিয়াল আর মহুলের জঙ্গল। মেঘ-রোদের আলোর খেলায় মোহ তৈরি হয়। বাসিন্দাদের দাবি, এই জঙ্গল হাতি থেকে হরিণ, নেকড়ে থেকে ময়ূরের মতো বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ ভূমি। দূরে পাহাড়ের গা থেকে নেমে এসেছে কংসাবতী নদী।
এই দুর্গম এলাকায় একসময়ে মাওবাদীদের আনাগোনা ছিল। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সেই সময় তাঁরা ওই এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতেন। তবে, এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। বাসিন্দাদের দাবি, ‘‘বনপার্টির লোকজনেরা আর আসেন না। এলাকার পরিস্থিতিও শান্ত। পুরুলিয়ার পর্যটন মানচিত্রে জাবর পাহাড় ঠাঁই পেলে পর্যটকদের হাত ধরে এখানকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’’