নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বাসস্ট্যান্ড সংস্কারের কাজ আটকে দিলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। মঙ্গলবার মানবাজার বাসস্ট্যান্ডের ঘটনা।
মানবাজার বাসস্ট্যান্ড চত্বর দীর্ঘকাল ধরে সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। সম্প্রতি মানবাজার-বান্দোয়ান রাস্তার সঙ্গে বাসস্ট্যান্ডের সংযোগকারী রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড চত্বর এবং লাগোয়া রাস্তা সংস্কারের জন্য ২৮ লক্ষ ৫৯৬২ টাকা বরাদ্দ হয়। ওই টাকায় বাসস্ট্যান্ডের সংযোগকারী রাস্তা ঢালাই করে এবং চত্বরটি পিচ দিয়ে বাঁধাই করার সিদ্ধান্ত হয়। নির্মাণকারী সংস্থা সম্প্রতি বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পাথর বিছিয়ে মাড়াইয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছিল।
বিজেপি-র মানবাজার ব্লক সভাপতি বাণিপদ কুম্ভকার ও জেলা কমিটির সদস্য দীপু বাউরি বলেন, ‘‘নির্মাণকারী সংস্থা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সংস্কারের জন্য যে পাথর মজুত করেছে তা নিম্নমানের। সেটা দেখার পরেই আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। পাথর পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞেরও দরকার হচ্ছে না, হাতে নিয়ে চাপ দিলেই ভেঙে যাচ্ছে।’’
তাঁদের দাবি, বলার পরেও ঠিকাদার তাঁদের কথা কানেই নেননি। বাণিপদবাবু বলেন, ‘‘এরপরেই আমরা বিডিও-কে লিখিত অভিযোগ জানাই।’’ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডের কোনও কোনও অংশে রোলার দিয়ে মাড়াই করার পরে পাথর গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। স্ট্যান্ডের পশ্চিম অংশে মজুত পাথরের মান সব চেয়ে খারাপ বলে তাঁদের অভিযোগ।
মঙ্গলবার দুপুরে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কাজে বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। কয়েকটি জায়গায় বিজেপির পতাকা পুঁতে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যান বিডিও (মানবাজার ১) সত্যজিৎ বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সত্যজিৎবাবু বলেন, ‘‘খারাপ পাথর বদলে ফেলতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ বৈঠকের পরে বাসস্ট্যান্ড থেকে পতাকা সরিয়ে নেওয়া হয়।
নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষে ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রোলার চালালে কিছু পাথর ভাঙবেই। তা না হলে মাঝের ফাঁক পূরণ হয় না।’’ তবে মজুত পাথর বাছাই করে খারাপ অংশ বাদ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy