বাসের ছাদ থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন প্রতিবন্ধী এক পরীক্ষার্থী। অভিযোগ, তিন ঘণ্টা বিষ্ণুপুর হাসপাতালে অপেক্ষায় থেকেও ওয়ার্ডে চিকিৎসকের দেখাই পেলেন না ওই যুবক। রবিবার বিকেলের ঘটনা। শেষে গুরুতর চোট নিয়ে তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি-র এ দিন পরীক্ষা ছিল। জয়রামবাটির শ্রীহর গ্রামের বছর চল্লিশের যুবক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল সোনামুখীর বি জে হাইস্কুলে। তাঁর বাঁ পা সামান্য ছোট। শারীরিক এই সমস্যা থাকলেও প্রচণ্ড ভিড়ের জন্য তিনি বাসের ভিতরে ঢুকতে পারেননি। বাসের ছাদে ওঠেন।
বিষ্ণুপুর বাইপাসে সোনামুখী মোড়ে তিনি ওই বাসের ছাদ থেকে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামছিলেন। তখনই কোনও ভাবে পা ফসকে তিনি নীচে আছড়ে পড়েন। তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নীচে চোট লাগে। সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে আসেন।
তখন প্রায় বিকেট চারটে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে শল্য বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেন। ওই যুবকের অভিযোগ, ‘‘যন্ত্রণায় ছটফট করছি। কিন্তু ওয়ার্ডে দীর্ঘক্ষণ বেড়ে শুয়ে থাকলেও কোনও ডাক্তার দেখতে আসেননি। একজন নার্সও এলেন না।’’
খবর পেয়ে তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে ছুটে আসেন। তিনিই ভায়ের পায়ে বরফ ঘষে ব্যান্ডেজ বাঁধেন। পৌনে সাতটা নাগাদ আরামবাগে ভাইকে নিয়ে রওনা হন তিনি।
অভিযোগ করে যান, ‘‘গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী নিয়ে গেলে অন্তত ডাক্তার, নার্সরা ছুটে আসেন। এখানে ডাক্তার তো নেই। নার্স দু’জন থাকলেও তাঁদের ডেকে পাওয়া গেল না।’’ যদিও ওই ওয়ার্ডে সেই সময়ে থাকা দুই নার্সের দাবি, ‘‘জরুরি বিভাগের ডাক্তারবাবু ওই রোগীর পায়ের এক্স-রে করতে বলেছিলেন। কিন্তু এক্স-রে প্লেট নেই বলে তা করানো যায়নি।’’
হাসপাতাল সুপার পৃথ্বীশ আকুলি বলেন, ‘‘কয়েকদিন ধরেই এক্স-রে প্লেটের ঘাটতি চলছে। এ দিন যে প্লেট একেবারেই ফুরিয়ে গিয়েছে জানতাম না।’’ তিনি জানান, শল্য বিভাগের এক চিকিৎসক তো ওই রোগীকে পরীক্ষা করে গিয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসা না করার অভিযোগ ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy