Advertisement
E-Paper

লাল ঝান্ডা ধরছে কারা, নানা মত

বুধবার জেলার প্রতিটি ব্লকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল সিপিএম। বেছে নেওয়া হয়েছিল, এনআরসি-বিরোধিতা, একশো দিনের কাজের পরিসর বৃদ্ধির মতো ষোলোটি বিষয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৪
ইন্দাস ব্লকে। নিজস্ব চিত্র

ইন্দাস ব্লকে। নিজস্ব চিত্র

রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পরে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং ইন্দাসের মতো এক সময়ের ‘লালদুর্গে’ ঝান্ডা ধরার লোক পেত না সিপিএম। গত আট বছরে সেখানে বন্ধ হয়েছে দলের বহু কার্যালয়। এই সময়কালে সে ভাবে প্রকাশ্যে কোনও কর্মসূচিও ওই দুই বিধানসভা এলাকায় পালন করতে দেখা যায়নি সিপিএমকে। বুধবার লাল ঝান্ডার মিছিল দেখল সেই পাত্রসায়র এবং ইন্দাস।

বুধবার জেলার প্রতিটি ব্লকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল সিপিএম। বেছে নেওয়া হয়েছিল, এনআরসি-বিরোধিতা, একশো দিনের কাজের পরিসর বৃদ্ধির মতো ষোলোটি বিষয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতির দাবি, ‘‘সব জায়গায় মানুষ যে ভাবে এ দিন সাড়া দিয়েছেন, তাতে আমরা খুশি। বিশেষ করে তালড্যাংরা ও ইন্দাসে প্রচুর মানুষ এসেছিলেন।’’ ইন্দাসে দলীয় কর্মসূচিতে দেড় হাজার মানুষের ভিড় হয়েছিল বলে দাবি করেন সিপিএম নেতা অসীম দাস। পাত্রসায়রের সিপিএম নেতা লালমোহন গোস্বামী জানান, রসুলপুর, পাত্রসায়র বাজার, কাঁকরডাঙা জোনাল, বালসি ১ এবং ২ এলাকায় সিপিএমের বেশ কয়েকটি বন্ধ কার্যালয় খোলা হয়েছে।

সিপিএমের কর্মসূচিতে লোক এল কোথা থেকে?

তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সংসদীয় জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরার মন্তব্য, ‘‘বিজেপি ও সিপিএম এখন একে অন্যের কর্মসূচিতে লোক পাঠাচ্ছে।’’ পক্ষান্তরে, বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষের দাবি, ‘‘বিজেপির ভোট কাটতেই সিপিএমকে অক্সিজেন দিচ্ছে তৃণমূল।’’ তবে দুই নেতার দাবিই নস্যাৎ করে দিয়েছেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের ধারণা, তৃণমূল এবং বিজেপির কাজকর্মে ‘বীতশ্রদ্ধ’ হয়ে মানুষ বামপন্থীদের সঙ্গ নিচ্ছেন।

CPM Patrasayer Indas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy