Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
100 day's work

একশো দিনের কাজে হচ্ছে গোলাপের বাগান

স্থানীয় বাজারে গোলাপের জোগান দিয়ে আয়ের আশা করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। 

চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র।

চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:৩৯
Share: Save:

একশো দিনের প্রকল্পে গোলাপ বাগান গড়ে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন দেখছেন বেলুট-রসুলপুর পঞ্চায়েতের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সম্প্রতি তাঁরা প্রায় এক হাজার গোলাপ গাছ লাগানোর কাজ শেষ করেছেন। পরিচর্যার দায়িত্বেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের যত্নেই বেড়ে উঠছে গাছ।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়, পাত্রসায়রের আশপাশে গাঁদা ফুলের প্রচুর চাষ হলেও গোলাপের চাষ হয় না। এলাকায় গোলাপের চাহিদা রয়েছে। এখানে গোলাপ আসে দুর্গাপুর ও বর্ধমান থেকে। তাই স্থানীয় বাজারে গোলাপের জোগান দিয়ে আয়ের আশা করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য রিনা রুইদাস বলেন, ‘‘আমরা দশ জন মিলে বেলুট মা বাসন্তী মন্দিরের সামনের পাঁচশো ফুট দীর্ঘ ও দশ ফুট চওড়া জমিতে গোলাপ গাছ বসিয়েছি। চার পাশে বাঁশের বেড়াও দেওয়া হয়েছে। পরিচর্যার জন্য ভাল নার্সারি থেকে পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। আশা করি আমাদের বাগানের গোলাপ সবাইকে খুশি করবে।’’

আর এক সদস্য লক্ষ্মী রুইদাস বলেন, ‘‘বিয়ে বাড়ির ফুলের বাজার ধরতে পঞ্চায়েতকে বলে চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, বিটুমিনাসের চারাও লাগানো হয়েছে। বাগানে ঠিক মতো ফুল ফুটলে আশাকরি বাজারের অভাব হবে না।’’

তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন ফুল ব্যবসায়ীরাও। পাত্রসায়র এলাকার এক ফুল ব্যবসায়ী অরূপ নন্দী বলেন, ‘‘এই এলাকায় গাঁদা ফুল প্রচুর পাওয়া যায়। কিন্তু গোলাপের চাহিদা থাকলেও তা এখানে চাষ হয় না। বিয়ের লগ্ন থাকলে দুর্গাপুর বা বর্ধমানের বাজার থেকে চড়া দামে গোলাপ আনতে হয়। তাতে তেমন লাভ রাখা যায় না। এলাকাতেই গোলাপ পাওয়া গেলে, আমাদের লাভও থাকবে, দামও বেশি হবে না।’’

বেলুট-রসুলপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের তাপস বাড়ি বলেন, ‘‘মোট চারটি গোলাপ বাগান গড়া হচ্ছে। সব ক’টিই দেখাশোনা করবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এই প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। বাগানের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য দেড় হাজার ঝোপের গাছও লাগানো হয়েছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক মুখোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘প্রাচীন মা বাসন্তী মন্দিরের সামনে ফুলের বাগান হওয়ায় মন্দিরের শোভাও বাড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE