প্রতিমা ছোটখাটো। কিন্তু তার পাশে বিশাল আকারের সাউন্ড বক্সের গাঁকগাঁক শব্দে পাড়া কাঁপছে। সঙ্গে রয়েছে ডজনখানেক মাইক। সরস্বতী পুজোর এই চেনা ছবিটা কিছুটা হলেও এ বার বদলাতে চাইছে রেল শহর আদ্রা।
সরস্বতী পুজোর আগে থেকেই ‘সাউন্ড লিমিটার’ ব্যবহার করে কম আওয়াজে সাউন্ড বক্স বা মাইক বাজাতে লাগাতার আবেদন করে এসেছে পুলিশ। শব্দবিধি মেনে সাউন্ডবক্স বাজাতে সচেতন করতে মঙ্গলবার পথে নেমেছিল আদ্রা থানার পুলিশ। বুধবার দেখা গেল, তাতে কিছুটা হলেও কাজ দিয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরস্বতী পুজোয় এ বার শব্দ-দৈত্যের তাণ্ডব অনেকটাই কমেছে। স্থানীয় গৃহবধূ কাজরী সিংহ, ব্যবসায়ী দিলীপ মোদীর কথায়, ‘‘অন্য বছরের তুলনায় এ বার সরস্বতী পুজোয় মাইক বা সাউন্ড বক্স কিছুটা হলেও আস্তে বেজেছে। এতে স্বস্তি পেয়েছি।’’
পুজো-পার্বণে শব্দবিধি ভেঙে তারস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো যেন এই রেল শহরের সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে বলে অনেকে আক্ষেপ করতেন। সরস্বতী পুজোতেও তার ব্যতিক্রম হতো না। তাই এ বার কয়েকদিন আগে কোমর বেঁধেছিল পুলিশ। পুজো উদ্যোক্তাদের সচেতন করার সঙ্গে মাইক ব্যবসায়ীদেরও সতর্ক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, বিধি মেনে সাউন্ডবক্স না বাজালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রেই জানা যাচ্ছে, শুধু আবেদন বা প্রছন্ন ভাবে আইনের ভয় দেখিয়েই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ। আদ্রার ওসি মুকুল কর্মকার নিজে পুজোর কয়েকদিন আগে বড়-বড় মাইক ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে কথা বলে, বিধি মেনে মাইক বাজানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন।
পুলিশ জানাচ্ছে, আদ্রা থানা এলাকায় ছোট, মাঝারি মিলিয়ে ৫০-৬০টি ক্লাব বা সংস্থা পুজো করে। যদিও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোথাও তারস্বরে মাইক বাজানো হচ্ছে বলে থানায় কোনও নালিশও আসেনি। তবে নালিশ পেলেই যে পুলিশ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত তাও জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার্সদেরও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy