ঘুঘুডাঙার কাছে কালভার্ট লাগোয়া রাস্তা ভেঙে এ ভাবেই চলে পারাপার। —নিজস্ব চিত্র
মাস ঘুরতে চলল। কিন্তু বন্যায় ফুলে ওঠে খালের জলে ভেঙে পড়া রাস্তা আর মেরামত হয়নি। এর জেরে বিষ্ণুপুর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। বিষ্ণুপুর ব্লকের মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের কাছে আজ এক মাস হতে চললো ভাসাপুলের সংযোগকারি রাস্তার মোরাম চাঁপা খালের জলে ধুঁয়ে মৃত্যু ফাঁদের চেহারা নিয়েছে।
বিষ্ণুপুর ব্লকের সুভাষপল্লি থেকে চাকদহ যাওয়ার রাস্তার উপর মড়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙা গ্রামের কাছে ভাসাপুলের সংযোগকারী রাস্তার মোরাম চাঁপা খালের জলে ধুয়ে যায়। গত ২২ অগস্টের বন্যায় ওই রাস্তা ভেঙে পড়ে। এর ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী কুলাইজুড়ি, কুলুপুকুর, ভেলকো, মাজুরিয়া, রাজপুরের হাজার খানেক বাসিন্দা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁরা জানান, এই পথেই ভোর-রাতে অন্ধকারের মধ্যে চাষিরা সাইকেলে করে ভারী বস্তা নিয়ে বাঁকাদহে যান। ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষেরও শহর বা স্কুল-কলেজে যাওয়ার এই রাস্তাই ভরসা। দিনের বেলায় কোনও রকমে জল-কাদা মাড়িয়ে তাঁরা ওই ভাঙা অংশ পার হচ্ছেন। কিন্তু রাতের অন্ধকারে তা বিপজ্জনক।
সুভাষপল্লির বাসিন্দা হেমন্ত কীর্তনীয়া, তপন ভদ্র থেকে বাউল মণ্ডল, রুকুবুদ্দিন খাঁয়েদের ক্ষোভ, ‘‘রাস্তা তো এখন মৃত্যু ফাঁদ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে যাওয়ার পরেই মড়ার পঞ্চায়েতের প্রধান, বিষ্ণুপুর বিডিও, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক— সবাইকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তবু কাজ শুরু না হওয়ায় চিন্তায় পড়েছি।’’ বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য শুক্রবার বলেন, ‘‘খবর পেয়েই আমি বিডিওকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এখন কী অবস্থা খোঁজ নেব।’’
বিডিও (বিষ্ণুপুর) জয়তী চক্রবর্তী জানান, ওই রাস্তা মেরামতির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁর আশ্বাস, ‘‘শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy