আবার পূর্বপল্লির মাঠে হবে ফিরলপৌষমেলা। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদে নভেম্বর মাসেই মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। আর তার পরই যথাস্থানে ফিরল বোলপুরের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ঠিক তিন বছর পর শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হবে। শুক্রবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের তত্ত্বাবধানে কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও আগের মত এত বড় আকারে নয়। পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি মেনে ছোট করে হচ্ছে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত এই উৎসব। ঐতিহ্যবাহী মেলা যে পূর্বস্থানেই আয়োজিত হবে তা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৯ সালে শেষ বার পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে তার পর থেকেই তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে শুরু হয় রাজ্য সরকারের সংঘাত। আর সেটা এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, তাঁর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয় রাজ্যের শাসকদল। এমনকি, পড়ুয়া থেকে আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের একাংশ উপাচার্যের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তার মধ্যে পূর্বপল্লির মাঠে এই পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্তও একটি। ২০২১ এবং ’২২ সালে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিদ্যুৎ-নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ওই দু’বছর বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন হয়েছে।
৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুতের। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তার পরেই আগের স্থানে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি। ওই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ। তারা উপাচার্যকে মেলার আয়োজন করার জন্য ডেপুটেশন দিয়েছিল। শুক্রবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের তত্ত্বাবধানে প্রায় দ’ঘণ্টা কর্মসমিতির বৈঠক হয়। ওই বৈঠক শেষে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, আবার পূর্বপল্লির মাঠেই হবে পৌষমেলা। তবে পরিবেশ আদালতের বেশ কিছু দূষণবিধি রয়েছে। সেই বিধি মেনে ছোট করে মেলার আয়োজন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy