প্রতীকী ছবি।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই সেখানকার পড়ুয়াদের টিকার আওতায় আনতে হবে। বুধবার সমস্ত জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফরের তরফে। সেই মতো জেলার সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই সেখানকার পড়ুয়াদের করোনা টিকার আওতায় আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার প্রতিটি কলেজে আলাদা আলাদা শিবির করে সেখানকার পড়ুয়াদের টিকাদানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শুক্রবার একটি ভিডিয়ো বৈঠক হয়। বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা জেলাশাসক (উন্নয়ন) প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে বীরভূমের ১৬টি কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক-সহ স্বাস্থ্যকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই জেলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে কীভাবে সেখানকার পড়ুয়াদের টিকার আওতায় আনা যায় সেই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়l
প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সমস্ত পড়ুয়া এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা নেননি তাঁদের নামের তালিকা কলেজগুলিকে তৈরি করতে বলা হয়েছে। কেউ টিকা নিয়ে থাকলে ক’দিন আগে নিয়েছেন, কটি ডোজ নেওয়া হয়েছে সব কিছুই উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন ধরে জেলার ১৬টি কলেজের কয়েক হাজার পড়ুয়াকে টিকার আওতায় আনা হবে। বীরভূম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “সবাইকে টিকার আওতায় আনাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’’
বৈঠকের আলোচনা অনুযায়ী তৎপর হয়েছে কলেজগুলি। রামপুরহাট কলেজ কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের জন্য ২৮ এবং ২৯ মার্চ কলেজ চত্বরে টিকা দানের বিশেষ শিবিরের আয়োজন করেছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২৮ সেপ্টেম্বর অধিকাংশ স্বাস্থ্য কর্মী পোলিয়ো টিকা দিতে ব্যস্ত থাকবেন। তাই ২৮ তারিখ ১০০ জনকে ও ২৯ তারিখ বাকিদের টিকা দেওয়া হবে।’’ টিকা না নেওয়া থাকলে কলেজের ক্লাসে বসতে দেওয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে রামপুরহাট কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশ জারি করেছেন।
বোলপুর পূর্ণদেবী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনীলবরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরাও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পড়ুয়াদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।’’ বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খোলার আগে যদি সকলের টিকাকরণ হয়ে যায় তাহলে সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই আটকানো যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy