Advertisement
E-Paper

খাবার নিয়ে ক্ষুব্ধ বন্দিরা

চা, প্রাতরাশ এবং দুপুরের খাবার বাদ। আগের দিন রাতের খাবার খেয়ে পরের দিন রাতের খাবার খাওয়ার মাঝে ছোট্ট একটা টিফিন। তাতে তিনটে লুচি, সামান্য সব্জি আর একটা শুকনো লাড্ডু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ১৭:০০

চা, প্রাতরাশ এবং দুপুরের খাবার বাদ। আগের দিন রাতের খাবার খেয়ে পরের দিন রাতের খাবার খাওয়ার মাঝে ছোট্ট একটা টিফিন। তাতে তিনটে লুচি, সামান্য সব্জি আর একটা শুকনো লাড্ডু।

কোনও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে নয়। শুধুমাত্র অবহেলার কারণেই সিউড়ি সংশোধনাগার থেকে আদালতে হাজির করানো বন্দিদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে সকাল ও দুপুরের খাবার। এমনই আভিযোগ বন্দিদের। কেন খাবার না পেয়ে এ ভাবে তাঁদের কষ্ট পেতে হবে— বিষয়টি বিচারকের নজরে এনেছেন বন্দিরা। সিউড়ি সিজেএম আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় মেজিস্ট্রেট নিরুপম কর নিজে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। গোটা ব্যাপারটিকে অমানবিক বলে বর্ণনা করছেন আইনজীবীরা।

কেন এমন অভিযোগ?

আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, দাবদাহ এড়াতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে ‘মর্নিং কোর্ট’। চলবে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত। যে দিন থেকে মর্নিং কোর্ট শুরু হয়েছে, সমস্যা শুরু সে দিন থেকেই। সিউড়ি আদালতে জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, বিশেষ আদালত, মুখ্যবিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত মুখ্যবিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিলিয়ে ১২ খানা আদালত রয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন আদালতে কমপক্ষে ২৫-৩০ জন জেলবন্দিকে হাজির করাতে হয়। সকালে আদালত বসে তাই ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পুলিশ লাইন থেকে প্রিজন ভ্যানে সংশোধনাগেরে পৌঁছে যায় অভিযুক্তেরা। সকাল ছ’টার মধ্যে বন্দিদের সংশোধনাগার থেকে কোর্ট লকআপে নিয়ে আসা হয়।

‘‘সমস্যার শুরু এখানেই’’— বলছেন সরকারি আইনজীবী রণজিত গঙ্গোপাধ্যায়, আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়রা। রণজিতবাবুদের দাবি, এত সকালে বন্দিদের আদালতে পাঠানোর আগে চা বা প্রাতরাশ দেওয়া হয় না বলে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ, লুচি, সব্জি, লাড্ডুর মতো আদালতের বরাদ্দ টিফিন দেওয়া হলেও বন্দিদের পেট ভরার কথা নয়। এরপর যখন বিভিন্ন আদালতের কাজ শেষে বন্দিদের সংশোধনাগারে ফেরত পাঠানো হয় তখন আর দুপুরের খাবার জোটে না। এটা অমানবিক। খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকেই। সংশোধনাগর মানে বন্দিদের অভুক্ত রাখা নয়। রণজিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে জেলা জজকে জানিয়ে দ্রুত মনিটারিং কমিটির বৈঠক ডেকে জেল সুপারিনটেন্ডনকে বিষয়টি বলা হবে।’’

সমস্যার কথা আংশিক মানলেও সকালের টিফিন না দেওয়ার কথা মানতে চাননি জেল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি, যেহেতু খুব সকালে বন্দিদের আদালতে পাঠানো হয়, তাই আগের রাতেই মুড়ি বা চিঁড়ে বন্দিদের হাতে দেওয়া হয়। আদালত থেকে ফিরে এলেও তাঁদের জন্য খাবার রাখা থাকে। কিন্তু সকালের রান্না করা ডাল-সব্জি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অনেকেই তা খেতে চান না।

জলাধার সংস্কারের দাবি। রামপুরহাট পুরসভার বিভিন্ন মোড়ে পানীয় জলের জলাধারগুলির কয়েক’টি থেকে নোংরা জল বের হচ্ছে। ওই জলাধারগুলির প্লাটফর্মে নোংরা পড়ে থাকে। সেগুলি সংস্কারের দাবি জানিয়ে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন জানায় সিআইটিইউ এবং আইএনটিইউসি প্রভাবিত ব্যবসায়ীরা ।

Food Prisoner
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy