Advertisement
E-Paper

সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্নায় মৃত শিশুর পরিবার

জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, ‘‘এ দিন ওই শিশুর পরিবার এসেছিল। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি প্রথম থেকেই এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছি। রেলের সঙ্গে আবার কথা বলব।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা  

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২০ ০১:০৪
পুরুলিয়া শহরে সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। নিজস্ব চিত্র

পুরুলিয়া শহরে সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। নিজস্ব চিত্র

পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন ‘শ্রমিক স্পেশাল’ ট্রেনে মৃত শিশুকন্যার বাবা ও অন্য পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পুরুলিয়া শহরে রাঁচী রোডের ধারে সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্না শুরু হয়। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো নিজে শিশুর বাবা দিলদার আনসারির সঙ্গে কথা বলার পরে বিকেল ৪টে নাগাদ ধর্না ওঠে।

৯ জুন রাতে কেরল থেকে ফেরা ‘শ্রমিক স্পেশাল’-এ মৃত্যু হয় দিলদারের ১৮ দিনের শিশুকন্যা রাবিয়ার। অভিযোগ, রেলের ‘হেল্পলাইন’-এ বার বার যোগাযোগ করেও সাহায্য মেলেনি। পরে রেলের বিরুদ্ধে ‘ভুল বুঝিয়ে’ একটি বয়ানে সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন দিলদার। এ দিন রাবিয়ার ছবি দেওয়া পোস্টার নিয়ে পুরুলিয়ার জয়পুরের বালিয়া গ্রাম থেকে পুরুলিয়া শহরে এসেছিলেন তার পরিজন ও কিছু পড়শি। দিলদার বলেন, ‘‘খড়্গপুরে ভুল বুঝিয়ে যে ভাবে রেল আমাকে দিয়ে সই করিয়েছিল, সেই ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গের তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে সাংসদকে। তিনিই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি। আমাদের কাছে যাননি বলে আমরাই চলে এসেছি।’’ দিলদারের ভাই সরফরাজ বলেন, ‘‘আমরা বিচার এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাই।’’

এ দিন দুলমি এলাকায় বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। ধর্না শুরুর পরেই সেই সম্মেলন সাংসদের বাড়িতে হবে বলে ঘোষণা করা হয়। একে এসে জ্যোতির্ময়বাবুর বাড়িতে আসতে শুরু করেন দলের নেতারা। পৌনে ৩টে নাগাদ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রঙ্গা সাংসদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিলদারকে ভিতরে ডেকে নিয়ে যান। প্রায় পৌনে চারটে নাগাদ দিলদার বেরিয়ে আসেন। পরে সরফরাজ বলেন, ‘‘সাংসদ তাঁকে লিখিত ভাবে আমাদের অভিযোগ জানাতে বলেছেন। আমরা তা-ই করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। দেখি কী হয়।’’

জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, ‘‘আমার দরজা সব সময় খোলা থাকে। এ দিন ওই শিশুর পরিবার এসেছিল। তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি প্রথম থেকেই এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছি। রেলের সঙ্গে আবার কথা বলব।’’ পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ভাবে ধর্নার পিছনে তৃণমূলের উস্কানি রয়েছে। এটি রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বিরোধী।’’ বাঁকুড়া বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘অসুস্থার কথা জেনেও রেলের ডাক্তার যাবেন না, এটা হতে পারে না। ওই পরিবারটি তখন কোথায় ফোন করেছিলেন সেটাও দেখা দরকার।’’

তবে ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের বরিষ্ঠ সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি এখন সবেতেই তৃণমূল দেখতে পাচ্ছে।’’

Pululia Migrant Labour Sit In
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy