উন্নয়নের কাজে ঢিলেমি এবং জেলার উন্নয়ন বৈঠকে গরহাজির থাকায় বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৫ জন নির্মাণ সহায়ককে শো-কজ করল জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নির্মাণ সহায়কদের কাছে শো-কজের চিঠি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। কেন তাঁদের মাইনে বন্ধ করা হবে না, আগামী সোমবারের মধ্যে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতকে স্মার্টফোন দিতে ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও নির্মাণ সহায়কদের ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে পঞ্চায়েত এলাকার ওয়েব ম্যাপ তৈরিকে স্মার্টফোন কী ভাবে কাজে লাগবে সেই ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণাও দেওয়া হয়। সেখানে জেলার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের খতিয়ান দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। বারবার বলার পরেও কেন এই হাল, জানতে চান তিনি। বেশ কয়েকজন নির্মাণ সহায়ক ওই বৈঠকে ছিলেন না। সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন ওঠে।
এর পরেই বৈঠকে গরহাজির ছিলেন যাঁরা এবং যে সমস্ত পঞ্চায়েতে কাজের গতি কম, তার নির্মাণ সহায়কদের শো-কজ করা হয়। জেলাশাসক বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্য ও জেলার গড়ের চেয়েও যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত পিছিয়ে রয়েছে সেগুলির নির্মাণ সহায়কদের শো-কজ করা হয়েছে।’’ ওই প্রকল্পে জেলার গড় চল্লিশ দিনের উপরে রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পঞ্চায়েতে কাজের গড় ৩০ দিন বা তার নীচে তারাই
চিঠি পেয়েছেন।
জেলার নির্মাণ সহায়কদের সংগঠনের তরফে শুধু জানানো হয়েছে, তাঁরা শো-কজের উত্তর দিয়েছেন। তবে কয়েকটি ব্লকের নির্মাণ সহায়কেরা দাবি করেছেন, ধান কাটার মরসুম চলায় একশো দিনের কাজে লোক মিলছে না। মরসুম ফুরোলেই অবস্থা বদল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy