বিজেপি বিধায়কদের বগটুই যাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপি বিধায়কদের বগটুই যাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বীরভূমে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন শুভেন্দু। বগটুইয়ে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সকালে কেউ কলকাতা থেকে রামপুরহাটে এলে রাস্তায় খিদে পাবে না?’’ বিজেপি বিধায়কেরা ‘ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে’ যাচ্ছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা অশোভনীয় বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের স্লোগান দিতে দিতে সোমবার সকালে কলকাতা থেকে বাসে করে বগটুই গ্রামের পথে রওনা দিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে। আজ রামপুরহাট যাব ভেবেও তাই গেলাম না।’’ উপলক্ষ ছিল একটি ভিডিয়ো। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটারে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন। তাতে দেখা গিয়েছে, বর্ধমানের শক্তিগড়ে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি প্রতিনিধিদলের বাস। কুণাল লিখেছেন, ‘বিজেপি-র পিকনিক দু’গাড়ি, বাসে যথাযথ আয়োজন বলে খবর। তবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা না হলে চলে? উল্লেখ্য, ওঁরা রামপুরহাটের দুঃখজনক ঘটনাস্থল দেখতে যাচ্ছেন।’
এর প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘সকালে কলকাতা থেকে রামপুরহাট এলে রাস্তায় খিদে পাবে না? উনি তো আসবেন হেলিকপ্টারে। আর যিনি রাস্তা দিয়ে আসছেন, তিনি তো জলখাবার খাবেনই। রাস্তার অবস্থাটা জানেন? বিজেপি-র বিধায়করা ৩টের সময় এসে পৌঁছেছেন। তাঁদের বলা হচ্ছে, ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যাচ্ছে! এই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা!’’
সুকান্তও বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে রামপুরহাট অনেক দূর। বাসে অতটা রাস্তা গেলে খিদে তো পাবেই। তাই বিধায়কেরা একটু চা-জলখাবার খেয়েছেন। এটা নিয়ে বিতর্ক করার কী আছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy