Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Kangshabati River

সেতুর দাবিতে সুর চড়াল সংগ্রাম কমিটি

তাঁদের বার্তা, অনেক আবেদন-নিবেদন হয়েছে। কাজ শুরু না হলে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।

অসমাপ্ত সেতু। নিজস্ব চিত্র

অসমাপ্ত সেতু। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ০৯:৪২
Share: Save:

কংসাবতী নদীর কাঁটাবেড়া ঘাটে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে। ২০১৭-র জুনে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। থমকে থাকা কাজ শুরুর দাবিতে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন নদীর দুই পাড়ের আড়শা ও পুরুলিয়া ১ ব্লকের প্রায় ৩০টি গ্রামের বাসিন্দারা। বুধবার কয়েক হাজার মানুষের সই সম্বলিত দাবিপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেয় ‘সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটি’। তাঁদের বার্তা, অনেক আবেদন-নিবেদন হয়েছে। কাজ শুরু না হলে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সেতু নির্মাণের কাজ পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অর্থে শুরু হয়েছিল। শান্তিরাম মাহাতো তখন ওই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। তাঁর দফতর বদলের পরে গতি হারায় কাজ। হাজার মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনপত্র পেয়েছি। সেটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাব। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের সচিবকেও চিঠি পাঠাব।’’ স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতুর তিনটি স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। আচমকাই তা বন্ধ হয়। ঠিকাদার সংস্থার লোহা, পাথর-সহ সেতু নির্মাণের নানা সামগ্রী নিয়ে চলে যায়। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘সেতুর সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্টে (ডিপিআর) আগের কিছু গলদ ছিল। নতুন ডিপিআর তৈরি হয়েছে। সেতু নির্মাণের খরচ তিন কোটি টাকা বেড়েছে। অর্থ দফতরের কাছে বাড়তি টাকা চাওয়া হয়েছে।’’সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির তরফে এ দিন জেলাশাসককের কাছেও দাবিপত্র দেওয়া হয়। জেলাশাসক রজত নন্দা বলেন, ‘‘সেতুর কাজ শুরুর কিছুদিন পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। দফতরের মন্ত্রী সেতু পরিদর্শন করবেন।’’ তিনি নিজেও সেতু পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

কংসাবতীর উপরে প্রস্তাবিত সেতুর এক দিকে রয়েছে আড়শা ব্লক। অন্য দিকে পুরুলিয়া ১ এবং জয়পুর ব্লক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলে তিনবার সেতুর সমীক্ষা হয়েছিল। ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে সেতু নির্মাণের কাজের শিলান্যাস করেন শান্তিরাম। তাঁর দফতর ৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। দু’বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেতু নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির সদস্য বামুনডিহা গ্রামের বাসিন্দা দেবীলাল মাহাতোর কথায়, ‘‘গ্রামগুলি থেকে পুরুলিয়া-বোকারো (৩৪ নম্বর) জাতীয় সড়কের চাষমোড়ের দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। এই মোড় থেকেই বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার গাড়ি ধরা যায়। নদীতে জল থাকলে বেলডি হয়ে ঘুরপথে জেলা সদরে যেতে হয়। সেতু হলে পিছিয়ে পড়া এলাকার অর্থনীতি বদলে যাবে।’’ কুদাগাড়া গ্রামের শরৎ মাঝি, জুরাডি গ্রামের সুনীল গোপ বা কাঁটাবেড়া গ্রামের মধুসূদন মাহাতোদের কথায়, ‘‘সেতু হলে ঝাড়খণ্ড থেকে অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়ার বিকল্প একটি রাস্তাও খুলে যাবে।’’ স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতুর তিনটি স্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এক বছর পরে, আচমকাই তা বন্ধ হয়। ঠিকাদার সংস্থা লোহা, পাথর-সহ সেতু নির্মাণের নানা সামগ্রী নিয়ে চলে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kangshabati River purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE